দলীপ ট্রফির পরে ইরানি কাপ, রঞ্জি ট্রফি ও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ব্যাট হাতে রং ছড়ান শ্রেয়স আইয়ার। সেই ধারাবাহিকতা তিনি বজায় রাখেন বিজয় হাজারে ট্রফিতেও। জাতীয় ওয়ান ডে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালান শ্রেয়স। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারের প্রথম ম্যাচে মুম্বই দলনায়ক যে রকম ধ্বংসাত্মক মেজাজে সেঞ্চুরি করেন, তেমনটা টি-২০ ক্রিকেটেও খুব কমই দেখা যায়।
শনিবার আমদাবাদে বিজয় হাজারে ট্রফির এলিট-সি গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে মুম্বই ও কর্ণাটক। টস জিতে কর্ণাটকের ক্যাপ্টেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বইকে। মুম্বইয়ের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন অংকৃষ রঘুবংশী ও আয়ুষ মাত্রে।
অংকৃষ ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ বলে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন আয়ুষ। তিনি ৮২ বলে ৭৮ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৬টি চার ও ২টি ছক্কা। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দাপুটে অর্ধশতরান করেন উইকেটকিপার হার্দিক তামোরে। তিনি ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯৪ বলে ৮৪ রান করে ক্রিজ ছাড়েন।
বিধ্বংসী শতরান শ্রেয়স আইয়ারের
আয়ুষ ও হার্দিক দলকে শক্ত ভিতে বয়িয়ে দেওয়ার পরে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। শক্ত ভিতে বিরাট রানের ইমারত গড়ার দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে তুলে নেন। শ্রেয়স ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান মাত্র ৫০ বলে। সাহায্য নেন ৫টি চার ও ৯টি ছক্কার। শেষমেশ ৫টি চার ও ১০টি ছক্কার সাহায্যে ৫৫ বলে ১১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়স।
সূর্যকুমার যাদব আগ্রাসী মেজাজে ব্যক্তিগত ইনিংস শুরু করেও আউট হয়ে বসেন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ২০ রান করে মাঠ ছাড়েন। শিবম দুবে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩২ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি শেষমেশ নট-আউট থাকেন ৩৬ বলে ৬৩ রান করে। মারেন ৫টি চার ও ৫টি ছক্কা।
শ্রেয়সের শতরান এবং আয়ুষ, হার্দিক ও শিবমের হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে মুম্বই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৩৮২ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। কর্ণাটকের হয়ে ১০ ওভারে ৮৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন প্রবীণ দুবে। ১টি করে উইকেট নেন বিদ্যাধর পাতিল ও শ্রেয়স গোপাল। ১০ ওভারে ৭৪ রান খরচ করেও উইকেট পাননি বিজয়কুমার বৈশাক।