বরোদার বিরুদ্ধে হার দিয়ে এবছর রঞ্জি অভিযান শুরু করে মুম্বই। তবে সেই ধাক্কা সামলে গড়গড়িয়ে ছুটছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিজয়রথ। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি জয়ে ৬ পয়েন্ট। ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ড্র ম্যাচে ফার্স্ট ইনিংস লিডের সুবাদে ৩ পয়েন্ট। এবার ওড়িশাকে ইনিংসে হারিয়ে বোনাস-সহ ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নেন অজিঙ্কা রাহানেরা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করা সত্ত্বেও ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচের নায়ক হওয়া হল না শ্রেয়স আইয়ারের। বরং তাঁকে টপকে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার ছিনিয়ে নেন দুই ইনিংসেই ৫ উইকেটের গণ্ডি টপকানো শামস মুলানি।
বিকেসি-র শরদ পাওয়ার অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। তারা ৪ উইকেটে ৬০২ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। দুর্দান্ত দ্বিশতরান করেন শ্রেয়স আইয়ার। তিনি ২৩৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। ২২৮ বলের আগ্রাসী ইনিংসে শ্রেয়স ২৪টি চার ও ৯টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া মুম্বইয়ের হয়ে শতরান করেন সিদ্ধেশ ল্যাড। তিনি ৩৩৭ বলে ১৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ১৭টি চার। নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন অংকৃষ রঘুবংশী। তিনি ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১২৪ বলে ৯২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। খাতা খুলতে পারেননি ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহানে।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ওড়িশা তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২৮৫ রানে। ১৮৭ বলে ১০২ রান করেন সন্দীপ পট্টনায়েক। তিনি ১১টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ৪৫ রান করেন দেবব্রত প্রধান। মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১১৫ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট নেন শামস মুলানি। ৫৩ রানে ৩টি উইকেট নেন হিমাংশু সিং।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩১৭ রানে এগিয়ে থেকে ওড়িশাকে ফলো-অন করতে বাধ্য করে মুম্বই। ওড়িশা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ২১৪ রানে। অর্থাৎ, এক ইনিংস ও ১০৩ রানে ম্যাচ জেতে মুম্বই।
দ্বিতীয় ইনিংসে ওড়িশার হয়ে ৫১ রান করেন আশীর্বাদ। ৪৫ রান করেন কার্তিক। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা সন্দীপ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মুম্বইয়ের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭১ রানে ৫ উইকেট নেন শামস মুলানি। অর্থাৎ, দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১১টি উইকেট নেন তিনি। এছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রানে ৪টি উইকেট নেন হিমাংশু সিং।