বুধবার থেকে শুরু হল মুম্বই বনাম ওড়িশার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ। ব্যাট হাতে আবার মুম্বই দলে ফিরে এলেন শ্রেয়স আইয়ার। শেষ ম্যাচে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে তাঁকে খেলতে দেখা যায়নি। মূলত ব্যক্তিগত কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সেই ম্যাচ ড্র করেছিল মুম্বই। গত ম্যাচে দলে সুযোগ পাননি পৃথ্বী শ। ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচেও তাঁকে দলে রাখা হয়নি। মূলত ফিটনেস এবং ডিসিপ্লিনারি ইস্যুর কারণে দলের বাইরে রয়েছেন তিনি। শ্রেয়সকে এবার KKR রিটেন করেনি। জানা যাচ্ছে, তিনি নিজেই এবার থাকতে চাননি। রিটেন হওয়ার পরিবর্তে IPL-এর নিলামে নিজের ভাগ্য যাচাই করতে চাইছেন শ্রেয়স। মুম্বইয়ের হয়ে এলিট গ্রুপ এ-এর প্রথম ম্যাচে খুব বেশি সফল হননি তিনি। বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের ২ ইনিংসে শূন্য এবং ৩০ করেছিলেন শ্রেয়স।
তবে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গ্ৰুপের দ্বিতীয় ম্যাচে জ্বলে ওঠে তাঁর ব্যাট। প্রথম ইনিংসে ১৯০ বলে ১৪২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। এর ফলে ম্যাচ ৯ উইকেটে জিতে নেয় মুম্বই। অন্যদিকে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পৃথ্বী শয়ের আচার আচরণে বিরক্ত এবং তাঁকে শিক্ষা দিতেই দল থেকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, তিনি দলের নেট সেশনে দেরি করে আসছিলেন। এমনও দাবি করা হয় তিনি নাকি নেট সেশনকে গুরুত্ব দেন না এবং প্রায়ই সেশনে অনুপস্থিতও থাকেন। এছাড়াও তাঁর ওজন, ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়, যা তাঁর পেশার সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। শুধুমাত্র ম্যানেজমেন্ট নয়, তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে একমত অধিনায়ক থেকে শুরু করে কোচ পর্যন্ত সবাই। চলতি মরশুমের ২টি রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের ৪ ইনিংসে পৃথ্বীর রান যথাক্রমে ৭, ১২, ১ ও ৩৯ নট আউট। তৃতীয় ম্যাচের পর রঞ্জির চতুর্থ ম্যাচেও পৃথ্বীকে দলে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মুম্বই।
উল্লেখ্য, মুম্বই এখনও পর্যন্ত এই মরশুমে ৩টি রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলেছে। যেখানে তারা মাত্র ১টিতে জয় হাসিল করেছে। ১টি ম্যাচ ড্র করেছে এবং ১টি পরাজিত হয়েছে। বর্তমানে তারা এলিট এ গ্ৰুপের ৪ নম্বরে রয়েছে। তাদের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৯। এরকম পরিস্থিতিতে চতুর্থ ম্যাচে জয় পেতে চাইবে মুম্বই। গতবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। কিন্তু এবছর প্রতিযোগিতায় শুরুটা ভালো হয়নি। তবে তুলনামূলক কমজোর ওড়িশাকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে যেতে চাইবে শ্রেয়সরা।