বোলার একই, ব্যাটসম্যান ভিন্ন। মাঠের ঠিক একই জায়গায় ক্যাচ মিস করেন দুই ভিন্ন ফিল্ডার। শনিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দেখা যায় নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডারদের নিতান্ত অপরিচিত ছবি। ফলে সহজ জীবনদান পেয়ে যান শুভমন গিল ও ঋষভ পন্ত। উল্লেখ্য, শুক্রবার ম্যাচের প্রথম দিনে রোহিত শর্মাও একবার জীবনদান পান। সুতরাং, ভারতের প্রথম ইনিংসে ইতিমধ্যেই তিনটি সহজ ক্যাচ ছাড়েন নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডাররা।
ফিলিপসের বলে গিলের ক্যাচ ছাড়েন চাপম্যান
২৬.১ ওভারে গ্লেন ফিলিপসের বলে বড় শট খেলার চেষ্টায় বল গগনে তুলে বসেন শুভমন গিল। তবে সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন পরিবর্ত ফিল্ডার মার্ক চাপম্যান। লং-অল অঞ্চলে ফিল্ডিং করছিলেন চাপম্যান। তিনি অনেকটা দৌড়ে এসে বলের নীচে পৌঁছে যান। যথাযথ পজিশন নেওয়া সত্ত্বেও বল তালুবন্দি করতে পারেননি চাপম্যান। বল তাঁর হাতের ফাঁক দিয়ে গিয়ে কোলে গিয়ে পড়ে। যদিও বল আটকায়নি সেখানেও।
গিল ব্যক্তিগত ৪৫ রানে জীবনদান পেয়ে দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি করেন। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চে গিল ব্যক্তিগত লড়াই জারি রাখেন। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চে ১০৬ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন গিল। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন।
ফিলিপসের বলে পন্তের ক্যাচ ছাড়েন হেনরি
গিল যেখানে জীবনদান পান, ঠিক একই জায়গায় গ্লেন ফিলিপসের বলে ঋষভ পন্তের ক্যাচ ছাড়েন ম্যাট হেনরি। তফাৎ শুধু এই যে, পন্ত বাঁ-হাতি ব্যাটার বলে সেক্ষেত্রে ফিল্ড পজিশন ছিল মিড-অফ। ৩৪.৩ ওভারে গ্লেন ফিলিপসের বলে বড় শট নেওয়ার চেষ্টা করেন পন্ত। বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করছিলেন ম্যাট হেনরি। বল তাঁর হাতে লেগে মাটিতে পড়ে যায়। ফলে সহজ জীবনদান পান ঋষভ পন্ত। ঋষভ তখন ব্যক্তিগত ৫৩ রানে ব্যাট করছিলেন।
যদিও জীবনদান পেয়ে নিজের ইনিংসকে খুব বেশি দূরে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি পন্ত। তিনি ৫৯ বলে ৬০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আগ্রাসী ইনিংসে পন্ত মোট ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
হেনরির বলে রোহিতের ক্যাচ ছাড়েন উইলিয়াম
ম্যাচের প্রথম দিনে ফাইন-লেগ বাউন্ডারিতে রোহিত শর্মার ক্যাচ ছাড়েন উইলিয়াম ও'রোর্ক। ৪.৩ ওভারে ম্যাট হেনরির বলে হাওয়ায় শট খেলেন হিটম্যান। বল উড়ে যায় ফাইন-লেগ বাউন্ডারি অঞ্চলে। ফিল্ডার উইলিয়াম ও'রোর্কের হাত থেকে বল ছিটকে যায়। ফলে সহজ জীবনদান পান রোহিত শর্মা। তিনি তখন ১৫ রানে ব্যাট করছিলেন। যদিও রোহিতও জীবনদান পেয়ে ব্যক্তিগত ইনিংসকে দীর্ঘায়িত করতে পারেননি। তিনি ১৮ বলে ১৮ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৩টি চার।