জাতীয় দল থেকে রঞ্জির আঙিনায় ফিরে রোহিত শর্মা, যশস্বী জসওয়াল, ঋষভ পন্তরা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। দুই ইনিংসেই উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি টিম ইন্ডিয়ার তিন সুপারস্টার। তবে শুভমন গিল ব্যতিক্রমী হয়ে ধরা দিলেন। পঞ্জাবের হয়ে রঞ্জি ম্যাচে মাঠে নেমে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হন গিল। তবে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াকু শতরান করেন শুভমন।
দাপুটে শতরান শুভমন গিলের
চিন্নাস্বামীতে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮ বলে ৪ রান করে আউট হন শুভমন গিল। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১১৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। গিল ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকান ১৫৯ বলে। সাহায্য নেন ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কার। যদিও শতরান পৌঁছনোর পরে নিজের ইনিংসকে দীর্ঘায়িত করতে পারেননি শুভমন। তিনি ১৭১ বলে ১০২ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
কর্ণাটকের কাছে ইনিংসে হার পঞ্জাবের
ক্যাপ্টেন গিল সেঞ্চুরি করেও পঞ্জাবের ইনিংস হার বাঁচাতে পারেননি। পঞ্জাব ম্যাচ হারে এক ইনিংস ও ২০৭ রানে। চিন্নাস্বামীতে রঞ্জির এলিট-সি গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে পঞ্জাব ও কর্ণাটক। টস জিতে কর্ণাটক দলনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান পঞ্জাবকে। শুরু থেকে নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে পঞ্জাব। শেষমেশ তাদের তারকাখচিত ব্য়াটিং লাইনআপ প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ৫৫ রানে। পঞ্জাবের প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয় মোটে ২৯ ওভার।
পালটা ব্যাট করতে নেমে কর্ণাটক তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৪৭৫ রান। তারা ১২২.১ ওভার ব্যাট করে। দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করেন রবিচন্দ্রন স্মরণ। তিনি ২৭৭ বলে ২০৩ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ২৫টি চার ও ৩টি ছক্কা।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৪২০ রানের বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে পঞ্জাব। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৩.৪ ওভার ব্যাট করে ২১৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন রবিচন্দ্রন স্মরণ।
ব্যর্থ রোহিত-যশস্বী-পন্ত
উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মুম্বইয়ের রোহিত শর্মা ৩ রান করে আউট হন। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ২৮ রান। মুম্বইয়ের হয়ে মাঠে নেমে যশস্বী জসওয়াল প্রথম ইনিংসে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ঋষভ পন্ত দিল্লির হয়ে মাঠে নামেন সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। পন্ত প্রথম ইনিংসে ১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন।