ব্যাট বিতর্কে গিল, সচিন, কোহলিও এমন কাজ করেননি, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগে শুভমনের পদক্ষেপে সমালোচনার ঝড়

ভারতীয় ক্রিকেট দলের তরুণ ব্যাটসম্যান শুভমন গিলের জন্য ইংল্যান্ড সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে তাঁকে ভারতীয় টেস্ট দলের নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে গিল এই বড় দায়িত্ব পেয়েছেন। এর আগে তিনি টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কত্ব করেছেন। কিন্তু এই সিরিজ শুরুর আগেই ক্রিকেট ভক্তদের আক্রমণের নিশানায় চলে এসেছেন শুভমন গিল। এর পেছনের কারণ হল, তাঁর ব্যাট। প্রশ্ন হল, শুভমনের ব্যাট নিয়ে হঠাৎ কেন শুরু হল নতুন বিতর্ক?

শুভমন গিলের ব্যাট নিয়ে তোলপাড়

ভারতীয় টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক শুভমন গিলের নতুন এমআরএফ ব্যাটটি সম্প্রতি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। আসলে, শুভমন গিল ২০২৫ সালের মার্চ মাসেই দেশের বিখ্যাত কোম্পানি এমআরএফের সঙ্গে একটি ব্যাট স্পনসরশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। গত বেশ কয়েক বছর ধরে, এই কোম্পানিটি ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতিটি প্রজন্মের সেরা ব্যাটসম্যান অথবা একজন বা দু'জন ব্যাটসম্যানের সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি করে আসছে। এর মধ্যে সচিন তেন্ডুলকর এবং বিরাট কোহলির মতো কিংবদন্তিরাও রয়েছেন। কিন্তু শুভমন গিলের ব্যাটে ‘প্রিন্স’ লেখা রয়েছে। আর এই নিয়েই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, শুভমন গিলকে তাঁর ভক্তরা ‘প্রিন্স’ উপাধি দিয়েছেন।

কিন্তু ভক্তরা শুভমন গিলের এই পদক্ষেপ মোটেও হজম করতে পারেননি। ভক্তরা ক্রিকেট কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর এবং ভারতের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা টেনে প্রশ্ন তুলেছেন গিলের এই পদক্ষেপ নিয়ে। কারণ এই দুই মহান খেলোয়াড়ের ব্যাটে কখনও এই ধরণের উপাধি লেখা হয়নি, যদিও ভক্তরা তাঁদের ক্রিকেটের ঈশ্বর এবং কিং বলে ডাকেন। যাইহোক নেটপাড়ায় এই নিয়ে চলছে তীব্র বিতর্ক। নেটিজেনদের দাবি, সচিন তেন্ডুলকর কখনও তাঁর ব্যাটে ‘ঈশ্বর’ লেখেননি। বা বিরাট কোহলি কখনও তাঁর ব্যাটে ‘কিং’ লেখেননি। এটি খেলার প্রতি তাঁদের নম্রতা এবং নিষ্ঠার পরিচয় দেয়। কিন্তু শুভমন গিল কী ভাবে তাঁর ব্যাটে ‘প্রিন্স’ লিখলেন?

আইপিএলের মাঝামাঝি সময়েই শুভমন গিলের ব্যাটে ‘প্রিন্স’ লেখা দেখা গিয়েছিল, কিন্তু তখন কেউ কোনও প্রশ্ন তোলেননি। তবে, প্রিন্স শব্দটি ব্যাটে লেখার বিষয়ে শুভমন গিল নিজেই প্রস্তাব করেছিলেন, নাকি এটি এমআরএফের একটি কৌশল, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়, তবে এটি অবশ্যই আলোচনার কারণ হয়ে উঠেছে।