টেস্ট ক্রিকেটে হাফ-সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি ব্যাটারদের কাছে কতটা গুরুত্ব পায়, সেটা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তার উপর বেশ কিছুদিন পরিচিত ছন্দে না থাকলে এমন মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়ে বাড়তি সতর্ক হওয়াই স্বাভাবিক সংশ্লিষ্ট ব্যাটারের।
তবে একেই বলে ‘সঙ্গ দোষ’। ক্রিজের অপর প্রান্তে যদি ঋষভ পন্ত ব্যাট করেন, তবে তাঁকে দেখে রং বদলানো স্বাভাবিক অন্য ব্যাটারের। শনিবার চেন্নাইয়ে ঠিক তেমন ছবিই দেখা যায়।
ম্যাচের যে কোনও পর্যায়ে বড় শট নেওয়ার ক্ষমতা আছে শুভমন গিলের। তবে তাঁকে বরাবর বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেট উপহার দিতে দেখা যায়। আগু-পিছু না ভেবে ডাকাবুকোভাবে ব্যাট চালানোর রাস্তায় তেমন একটা হাঁটেন না গিল। শনিবার চিপকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে রীতিমতো পন্তের মতো আচরণ করেন গিল।
দলগত ২৯ ওভারের শেষে শুভমন গিল ব্যাট করছিলেন ব্যক্তিগত ৩৯ রানে। ৩০তম ওভারে বল করতে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ওভারের দ্বিতীয় বলে স্টেপ-আউট করে ছক্কা হাঁকান শুভমন। ওভারের পঞ্চম বলে ফের স্টেপ-আউট করে মেহেদিকে গ্যালারিতে ফেলেন গিল। এই ২টি ছক্কার সুবাদে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ টপকাতে গিল খরচ করে ৭৯টি বল। সাহায্য নেন ৪টি চার ও ২টি ছক্কার। তিনি তৃতীয় দিনের লাঞ্চে ১৩৭ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। লাঞ্চের পরে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৬১ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন শুভমন গিল। টেস্ট কেরিয়ারে এটি তাঁর পঞ্চম শতরান। শেষমেশ ১৭৬ বলে ১১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন শুভমন গিল। তিনি সাকুল্যে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
আরও পড়ুন:- IND vs BAN 1st Test: অফ-স্পিনে ৩৯ বার আউট! কোহলিকে রোগ সারানোর কড়া দাওয়াই শাস্ত্রীর
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ঋষভ পন্ত এদিন তুলনায় সতর্ক হয়ে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তবে ৫০ টপকানোর পরে তিনি ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। পন্ত ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৮৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১২৪ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। শেষমেশ ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১২৮ বলে ১০৯ রান করে মাঠ ছাড়েন ঋষভ। ভারতীয় দল চেন্নাই টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ৫১৫ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিয়ে দেয়।