রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে শনিবার পঞ্জাবের হয়ে শতরান করেন শুভমন গিল। যখন একের পর এক তারকা ব্যাটাররা ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তখন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নজর কাড়েন গিল। বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে রান করতে ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে অনেক। ক্রিকেট প্রেমীরা তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার কথাও বলতে থাকেন। এরকম পরিস্থিতিতে রঞ্জিতে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ম্যাচে ১০২ রানের ইনিংস খেলে কিছুটা চাপমুক্ত হয়েছেন শুভমন। একই সঙ্গে কেন টেস্ট ক্রিকেটে রান আসছে না সেই কারণও খুঁজে পেয়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। তবে এমন নয় যে অস্ট্রেলিয়া সফরে একা গিল ব্যর্থ হয়েছেন। রান পাননি রোহিত, বিরাটের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা। যা দেখে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন কোচ গৌতম গম্ভীর।
হারের কারণ পর্যালোচনা করতে বসে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও। এরপরেই ক্রিকেটারদের জন্য ১০ পয়েন্টের নির্দেশিকা জারি করে তারা। যেখানে স্পষ্ট ভাবে বলা হয় এবার থেকে সময় পেলে সব আন্তর্জাতিক স্তরে খেলা ক্রিকেটারদের বাধ্যতামূলক ভাবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। সেই মতো এবার রঞ্জিতে খেলতে দেখা যায় রোহিত শর্মা, যশস্বী জসওয়াল, শুভমন গিল, রবীন্দ্র জাদেজা সহ বেশ কিছু ক্রিকেটারকে। ব্যাট হাতে অবশ্য রান করতে ব্যর্থ হন রোহিত-যশস্বীরা। তবে পঞ্জাব বনাম কর্ণাটক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭১ বলে ১০২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন শুভমন। মেরেছিলেন ১৪টি চার এবং ৩টি ছয়।
রানে ফিরতেই নিজের টেস্টে ব্যর্থতার কারণ খুঁজে পান এই ডান হাতি ব্যাটার। তিনি বলেন, ‘লাল বলের ক্রিকেটে রান না পাওয়া নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। অনেক সময় ২৫-৩০ রান ভালোভাবে আসছিল। কিন্তু সেটাকে বড় রানে পরিণত করতে পারছিলাম না। আমার মনে হয় নিজের উপর অতিরিক্ত চাপ নিয়ে নিচ্ছিলাম। এই ভাবে ক্রিকেট খেলে আমি বেড়ে উঠিনি।’ শুভমন আরও বলেন, ‘এটা একটা আলাদা পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। আমার মনে হয় নিজের উপর চাপ তৈরি করায় রান করতে পারছিলাম না। আমি ভাবতাম আমি সেট হয়ে গেছি, এবার বড় রান করতে হবে। এই মানসিকতাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। আর যেই কারণে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমি নিজের মনোসংযোগ হারিয়ে ফেলছিলাম। খেলায় মনোসংযোগ নষ্ট হলেই বিপদ।’
রঞ্জিতে রান পাওয়াটা অবশ্যই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে শুভমন গিলের। নিজের ইনিংস নিয়ে সন্তুষ্ট তিনি। গিল বলেন, ‘এই ইনিংসটা আমাকে বেশ স্বস্তি দিচ্ছে। আমি নিজের খেলা নিয়ে বেশ খুশি। প্রথম ১৩০ বলে ৪০ রানের মতো করেছিলাম। ওরা বেশ ভালো বল করছিল। পিচ থেকেও সাহায্য পাচ্ছিল বোলাররা। সব কিছু মিলিয়ে যেই ভাবে আমি ইনিংসটা খেলেছি তাতে আমার ভালো লাগছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘লাঞ্চের পর নিজের মতো করে শট খেলার পরিকল্পনা করেছিলাম। অন্য প্রান্তে উইকেট পড়লেও মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করেছি। ক্রিজে টিকে থাকার চেষ্টা করেছি।’