আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে রানে ফিরেছেন ভারতীয় ওপেনার তথা গুজরাট টাইটানস দলের অধিনায়ক শুভমন গিল। অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছেন গিল। তার কামব্যাক ইনিংসের পরই নেট মাধ্যমে ধরে নেওয়া হয়েছে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাবেন। যদিও এই নিয়ে কিছুটা ভিন্ন মত রয়েছে প্রাক্তন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার সাইমন ডুলের।
এখনই বিশ্বকাপের দলে গিলকে দেখতে নারাজ সাইমন। তার মতে ভারতের ১৫ জন স্কোয়াডে এমন কাউকে নেওয়া উচিত যে শুধু টপ অর্ডার ব্যাটিংই নয় সঙ্গে উইকেটকিপিং করতে পারেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করবেন রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি খেলবেন কিনা এখনও তা স্পষ্ট নয়। এপ্রিল মাসের শেষেই জানা যাবে ভারতের স্কোয়াড। তার আগে আইপিএলই এখন পারফরমেন্সের মাপকাঠি ক্রিকেটারদের। আইপিএলের প্রথম পর্ব দেখে নিয়ে তবেই ভারতের বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করতে চলেছে অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি।
ওপেনিংয়ে গিলের প্রধান লড়াই বাঁহাতি ব্যাটার যশস্বী জসওয়ালের সঙ্গে। রোহিত শর্মার সঙ্গে যশস্বী ওপেন করলে যেমন রাইট হ্যান্ড, লেফট হ্যান্ড কম্বিনেশন আসবে, তেমনি ম্যাচের প্রথম বল থেকেই প্রতিপক্ষ বোলারদের হিট করার অভ্যেস রয়েছে যশস্বীর। পারফরমেন্সও বলছে সেকথা। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। এরপর থেকে ১৬ ইনিংসে তিনি করেছেন ৫০২ রান। রয়েছে চারটি অর্ধশতরান ও একটি শতরান । স্ট্রাইক রেট ১৬২।
সেই তুলনায় শুভমন গিলের পারফরমেন্স কিছুটা পিছিয়ে। কারণ ১৪টি ইনিংসে গিলের ঝুলিতে রয়েছে ৩৩৪ রান। স্ট্রাইক রেট ১৫০-র আশেপাশে। ফলে ওপেনিংয়ে যশস্বী সুযোগ পাবেন তা বলাই যায়। গতবার আইপিএলেও দুরন্ত ফর্মে ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার। টুর্নামেন্টে করেছিলেন ৬২৫ রান। টপ অর্ডারে গিলকে তাই কোনোভাবেই চাইছেন না প্রাক্তন কিউয়ি ক্রিকেটার।
বিরাট কোহলি বা লোকেশ রাহুলের আগে কোনোভাবেই গিলকে দেখছেন না নিউজিল্যান্ডের সাইমন ডুল । তার মতে গিলের থেকেও স্কোয়াডে ঢোকার বেশি দাবিদার লোকেশ রাহুল। কারণ ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি একই সঙ্গে প্রয়োজনে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে উইকেট ধরেও খেলতে পারেন। এছাড়া উইকেটকিপিং তো পারেনই। গিলকে দলে নেওয়া মনে শুধুই একজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে দলে নেওয়া। তবে রাহুলের থাকা মানে দলে ভারসাম্য বেড়ে যাওয়া। কারণ ১৮ জনের স্কোয়াড হলে অতিরিক্ত বিকল্প নিয়ে যাওয়া যায়, কিন্তু ১৫ জনের স্কোয়াডে সেই সুযোগ থাকে না। যদিও সাইমন ডুলের এই পরামর্শ অজিত আগরকার নেবেন কিনা, সেটা সময়ই বলবে।