নিজ নিজ জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার সময়ে সূর্যকুমার যাদব ও ক্যামেরন গ্রিন একে অপরের প্রতিপক্ষ। তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে দুই তারকা একে অপরের সতীর্থ। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালান দুই তারকা। স্বাভাবিকভাবেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের সময় একসঙ্গে বিভিন্ন প্রমোশনাল ইভেন্টে অংশ নিতে হয় সূর্য ও গ্রিনকে। তেমনই এক অনুষ্ঠানে সূর্যকুমারকে নিয়ে এমন একটা মন্তব্য করেছিলেন গ্রিন, যা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফের আলোচনায় উঠে আসে।
রবিবার ইন্দোরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৪ বলে ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করেন সূর্যকুমার। তিনি শেষমেশ ৬টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ৭২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এমন তাণ্ডব চালানোর পথে সূর্যকুমার প্রথম ইনিংসের ৪৪তম ওভারে ক্যামেরন গ্রিনের প্রথম চারটি বলে পরপর ৪টি ছক্কা হাঁকান।
সূর্যকুমারের কাছে গ্রিন এভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার পরে সোশ্যোল মিডিয়ায় ফের ঘোরাফেরা করতে শুরু করে পুরনো সেই ভিডিয়ো, যেখানে ক্যামেরন বলেছিলেন যে, ‘ইফ ইউ আর ব্যাড, স্কাই ইজ মাই ড্যাড’। প্রসঙ্গিকতা নিয়ে কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। আসলে নেটিজেনরা মজে গ্রিনের বলা এইটুকু কথাতেই যে, স্কাই আমার বাবা।
রবিবার হোলকার স্টেডিয়ামে একজোড়া উইকেট তুলে নিলেও অত্যন্ত খরুচে বোলিং করেন ক্যামেরন গ্রিন। তিনি ১০ ওভারে ১০৩ রান খরচ করেন। একা গ্রিনই নন, বরং অস্ট্রেলিয়ার সব বোলাররাই যথেচ্ছ মার খান। যে কারণে ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩৯৯ রানে পৌঁছে যায়।
সূর্য ছাড়াও ভারতের হয়ে ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলেন শুভমন গিল, শ্রেয়স আইয়ার, লোকেশ রাহুল ও ইশান কিষান। গিল ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৯৭ বলে ১০৪ রান করে আউট হন। শ্রেয়স ১১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯০ বলে ১০৫ রান করে মাঠ ছাড়েন। লোকেশ ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ৫২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ইশান ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ৩১ রানের যোগদান রাখেন।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৩ ওভারে ৩১৭ রানের। অস্ট্রেলিয়া ২৮.২ ওভারে ২১৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৯৯ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে টিম ইন্ডিয়া।