নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম দিকের কথা স্মরণ করলেন স্মৃতি মন্ধনা। আরসিবির বোল্ড এন্ড বিয়ন্ড পডকাস্ট শোয়ে তিনি এই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি তাঁর প্রথম কাস্টম মেড ব্যাট পাওয়ার কাহিনী তুলে ধরেন। স্মৃতি বলেন, ‘আমার মনে আছে আমি সেই সময় মিরাটে ছিলাম। প্রথমবার আমি সফর করছিলাম এবং আমার সঙ্গে আমার বাবা ছিল। কারণ সেই সময় আমার বয়স অনেকটাই কম ছিল। আমার বাবা সেখানে এক ব্যাট কোম্পানি কে জানত, যারা তার জন্য ব্যাট পাঠাত। তারা বললো, তোমার মেয়ে একটা বড় ব্যাট ব্যবহার করে। আমরা ওর জন্য একটা স্পেশাল ব্যাট তৈরি করব এবং ওকে দেব। আমার মনে হয় কোম্পানির নাম ছিল আরএস। জানি না এখনও আছে কিনা। তবে সেই কাকু খুবই ভালো ছিলেন। আমি খুবই উত্তেজিত ছিলাম। ঘুম আসছিল না।’
স্মৃতি আরও যোগ করেন, ‘২ দিন পর আমার সাইজ অনুযায়ী আমার ব্যাট পেলাম, কারণ আমি খুব রোগা ছিলাম। আমি ব্যাটটিকে কাছে টেনে নিলাম, বললাম এটাই সেই জিনিস। সেটা আমার কাছে সেরা মুহূর্ত ছিল।’ আরসিবি প্রথম ওমেন্স প্রিমিয়ার লিগের আগে স্মৃতি মন্ধনাকে ৩.৪ কোটি টাকার বিনিময় দলে নিয়েছিল। এই মুহূর্তে তিনি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। প্রথম মরশুমে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। ১০ ম্যাচে ৩০০ রান করে প্রতিযোগিতার চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন স্মৃতি। হাঁকিয়েছিলেন ২টি হাফ সেঞ্চুরি। তাঁর নেতৃত্বেই আরসিবি গতবছর ওমেন্স প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ম্যানেজমেন্টের প্রশংসা করে স্মৃতি বলেন, ‘তারা কখনও এটা বলে না যে - ওহ, এটা তো মেয়েদের টিম। তারা সবসময় বলে এটা আরসিবি টিম, এবং আরসিবি হিসাবেই দেখা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম বছর অকশন শেষ হতেই, আমরা ৩ দিনের জন্য খেলতে নেমে যাই। তাই ৩ দিনে আপনি ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সেই ভাবে জুড়তে পারবেন না। কিন্তু এই ফ্র্যাঞ্চাইজি আমায় যা দিয়েছে আমি সেটা ফিরিয়ে দিতে চাই। সমর্থকরাও খুবই অসাধারণ। আমি সব কিছু বুঝতে শুরু করি দ্বিতীয় বছর থেকে। এমনকী প্রথম বছর থেকেই ম্যানেজমেন্ট যে ভাবে দলের মধ্যে পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছে তা অসাধারণ ছিল।’ উল্লেখ্য, এবছর ওমেন্স প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় মরশুম অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতা।