‘এত নিঃস্বার্থ হওয়ায় ধন্যবাদ’- পুণে টেস্টে ভারতের লজ্জাজনক হারের পরেই কেএল রাহুলের সেই পোস্ট নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গেল। নেটিজেনদের একাংশের ধারণা, ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে (যে রোহিতকে নিঃস্বার্থ অধিনায়ক বলা হয়ে থাকে) নিশানা করেছেন রাহুল। কারণ সরফরাজ খানকে প্রথম একাদশে রাখতে রাহুলকে পুণে টেস্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সরফরাজ পুণেতে একেবারেই ভালো খেলতে পারেননি। বরং স্পিনিং পিচে তাঁর শট সিলেকশন নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যদিও অনেকের বক্তব্য, নেহাতই একটা ইনস্টাগ্রাম স্টোরি নিয়ে এত হইচই করার কিছু নেই। রোহিত নিশ্চয়ই রাহুলকে ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন যে কেন তাঁকে পুণেতে খেলানো হচ্ছে না। আর এই বার্তাটাও নিশ্চয়ই দেওয়া হয়েছে যে অস্ট্রেলিয়ায় তাঁকেই খেলানো হবে।
‘নিরামিষ’ পোস্ট নয়, রহস্যের গন্ধ পেলেন অনেকে
যদিও সেই ‘নিরামিষ’ ব্যাখ্যা মানতে রাজি নন অনেকেই। বিশেষত যে সময় রাহুল সেই পোস্ট করেছেন, তাতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন তাঁরা। পুণে টেস্টে ভারতের হারের পরে শনিবার রাতের দিকে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একজনের সঙ্গে নিজের হাসিমুখের ছবি পোস্ট করেন রাহুল। সঙ্গে লেখেন, ‘হ্যাপি বার্থডে চিচা। সমস্ত ভালোবাসা (দিলাম) তোমায়। এত নিঃস্বার্থ হওয়ায় ধন্যবাদ।’
‘কথা বললেই আগুন’
আর সেই স্টোরির প্রেক্ষিতে এক নেটিজেন বলেন, ‘আমার ভাই বেশি কথা বলেন না। কিন্তু যখন বলেন, তখন আগুন ছড়িয়ে দেন।’ অপর একজন বলেন, 'রোহিত শর্মাকে চরম কটাক্ষ করলেন (রাহুল)।' এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘এটা তো সত্যিই! আমি তো প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। তখন ইনস্টাগ্রামে গিয়ে দেখলাম যে (রাহুল) সত্যিই এরকম পোস্ট করেছেন। ভাবতেই পারছি না।’
১৯ নভেম্বর নিয়েও খোঁচা এসেছে
তবে কটাক্ষও ধেয়ে এসেছে রাহুলের দিকে। এক নেটিজেন বলেন, ‘চিচাও নিঃস্বার্থ। কিন্তু ওঁর (রাহুল) স্বার্থপর ইনিংসের জন্যই তো বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরেছিলাম।’ আর যে বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা বলেছেন ওই নেটিজেন, তা ২০২৩ সালের একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের। ২০২৩ সালের সেই অভিশপ্ত ১৯ নভেম্বর ১০৭ বলে ৬৬ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন রাহুল। স্ট্রাইক রেট ছিল ৬১.৬৮। মাত্র একটি চার মেরেছিলেন। পুরো বিশ্বকাপে ভালো খেললেও ওই ইনিংসের জন্য এখনও সমালোচিত হন রাহুল।
আরও পড়ুন: Mohammad Shami- বর্ডার গাভাসকর ট্রফি থেকে বাদ পড়ে নির্বাচকদের বার্তা শামির! করলেন ভিডিয়ো পোস্ট…
টিম ইন্ডিয়া অবশ্য রাহুলের পাশে ছিল। কিন্তু বেঙ্গালুরু টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হওয়ার পরে এবং সরফরাজ দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পরে রাহুলকে পুণে টেস্টের দলে রাখা হয়নি। বেঙ্গালুরু টেস্টে প্রথম ইনিংসে কোনও রান করতে পারেননি রাহুল। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ রান করেছিলেন। এমনিতেই তিনি ছন্দ পাচ্ছিলেন না। আর ভাগ্যের সহায়তা পাননি। দু'বারই কঠিন পরিস্থিতিতে নেমেছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি যেরকম মানের ব্যাটার, তাতে সেই ভাগ্য খারাপ ব্যাপারটা খুব একটা বেশি রাহুলের ‘সুরক্ষাবর্ম’ হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।