জঘন্য স্লেজিং করছিল অজিরা! WTC চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিস্ফোরক প্রোটিয়া অধিনায়ক

বহু বছর পর আইসিসির ট্রফি জিতেছে দঃ আফ্রিকা। ১৯৯৮ সালের পর ২০২৫ সালে এসে অশেষে শাপমুক্তি ঘটেছে প্রোটিয়াদের। পরপর ওডিআই বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর অবশেষে টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে প্রোটিয়া শিবির। টেম্বা বাভুমা এবং এইদেন মার্করামের অনবদ্য পারফরমেন্সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রোটিয়া ব্রিগেড। নিজেদের দেশে এখন তাঁরা রাজকীয় অভ্যর্থনা পাচ্ছেন।

বরাবরই দঃ আফ্রিকার অভ্যাস ছিল, জয়ের কাছাকাছি গিয়ে ম্যাচ হারা। আইসিসি ইভেন্টের নকআউটে হারাকেই যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিল দঃ আফ্রিকা শিবির। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাঁরা নিজেদের স্নায়ুচাপ ধরে রেখেই আসল কাজের কাজটা করে দেখিয়েছেন, ২৮২ রান তাড়া করে। সঠিক সময়ই জ্বলে ওঠেন বাভুমা এবং মার্করাম। আইসিসি ইভেন্টে তাঁদের টানা ব্যর্থতার জন্য অনেক সময়ই দঃ আফ্রিকাকে চোকার্স তকমা দেওয়া হত। অস্ট্রেলিয়াও নাকি সেই চোকার্স তকমার কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল বাভুমাদের, বলছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।

টেম্বা বাভুমা বলছেন, ‘আমরা যখন ব্যাটিং করছিলাম তখন শুনতে পারছিলাম সেই ভয়ঙ্কর শব্দটা বারবার অস্ট্রেলিয়ানরা আমাদের উদ্দেশ্যে বলছে, ‘চোক’। আমরা নিজেদের ওপর অগাধ ভরসা এবং আস্থা রেখেছিলাম। আমাদের দলকে ফাইনালে তুলেছিলাম। অনেকে সন্দেহ করেছিল, আদৌ ভালো কিছু করতে পারব কিনা, কিন্তু তাঁদেরও চুপ করানো গেছে ’।

১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডের মাঠেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটুর জন্য সেমিফাইনালে হারতে হয়েছিল দঃ আফ্রিকাকে। প্রোটিয়াদের ল্যান্স ক্লুজনার এবং অ্যালান ডোনাল্ডের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সুবিধা তুলেছিল অজিরা। প্রায় ২৬ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মধুর প্রতিশোধের পর টেম্বা বাভুমা বলছেন, ‘দেশ হিসেবে আমাদের কাছে সুযোগ এসেছে ঐক্যতা দেখানোর, অতীতকে ভুলে যাওয়ার। আশা করব, আমাদেশ দেশকে এই জয় উৎসাহিত করবে। অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল আমাদের পারফরমেন্স নিয়ে,তবে আমরা সেই সন্দেহের অবকাশ রাখিনি। ’

ফাইনাল ম্যাচে শতরান করা মার্করাম বলছিলেন, আর তাঁদের চোকার্স বদনাম দেওয়া উচিত নয়। সেই বদনাম ঘোঁচানোর জন্য যা যা করার সেটা তাঁরা করে দেখিয়েছেন।