ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছেলেরা যেদিন টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জায় পড়ে, ঠিক সেই দিনই মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেন নিগার সুলতানারা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে লিগের শেষ ম্যাচে গোহারান হারে বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দল।
দুবাইয়ে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দল। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১০৬ রান সংগ্রহ করে। ৪৩ বলে ৩৮ রান করেন শোভনা মস্তারি। তিনি ৪টি চার মারেন। ৩৮ বলে ৩২ রান করেন ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা। তিনি ২টি চার মারেন।
৩০ বলে ১৯ রান করেন সাথী রানি। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। খাতা খুলতে পারেননি দিলারা আক্তার। ৭ বলে ৪ রান করে নট-আউট থাকেন স্বর্ণা আক্তার। অর্থাৎ, বাংলাদেশের সব ব্যাটারই ঠুকঠুকে ব্যাটিং করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে ১০ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন মারিজান কাপ। ১ ওভারে ৭ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন অ্যানেরি। ৪ ওভারে ১১ রান খরচ করে ১টি উইকেট দখল করেন ননকুলুলেকো ম্লাবা। উইকেট পাননি আয়াবঙ্গা খাকা, নাদিন ডি'ক্লার্ক, ক্লোই ও সুন লাস।
পালটা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা ক্রিকেট দল ধীরে সুস্থে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। তারা ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১০৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৬ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৪১ বলে ৪২ রান করেন তাজমিন ব্রিটস। তিনি ৫টি চার মারেন। ২৫ বলে ২৫ রান করেন অ্যানেক। তিনি ২টি চার মারেন। ১৩ বলে ১৩ রান করে নট-আউট থাকেন মারিজান কাপ। তিনি ১টি চার মারেন। ১৩ বলে ১৪ রান করে নট-আউট থাকেন ক্লোই।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন ফহিমা খাতুন। ২২ রানে ১টি উইকেট নেন ঋতু মনি। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন তাজমিন।
এই জয়ের সুবাদে ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে সেমিফাইনালের পথে বড়সড় পা বাড়িয়ে রাখে দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা দল। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে ১টি জয়-সহ ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ।