বৃহস্পতিবার রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংসের প্রথম ওভারেই জস বাটলার এবং সঞ্জু স্যামসনকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। এতে বড় ধাক্কা খেয়েছিল রাজস্থান। তবে তারা শেষ পর্যন্ত কিন্তু ২০০ করে ফেলেছিল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত মাত্র ১ রানের জন্য সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হারতে হয় রাজস্থানকে। তবে ভুবির প্রথম ওভারেই ২ উইকেট তুলে নেওয়াটা হায়দরাবাদের ২০১ রান ডিফেন্ড করার লড়াইয়ে বড় অক্সিজেন জুগিয়েছিল।
এখানেই শেষ নয়। রাজস্থানের জিততে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। ১২ রান করলে ম্যাচটি ড্র হত। সুপার ওভারে গড়াত খেলা। ভুবি বল করতে এসেছিলেন শেষ ওভারে। প্রথম পাঁচ বলে ১১ রান দিয়ে দেন তিনি। শেষ বলে ২ রান করলেই জিতে যেত রাজস্থান। শেষ বলেই রভম্যান পাওয়েলকে এলবিডব্লিউ করে হায়দরাবাদকে জয় এনে দেন ভুবনেশ্বর কুমার। ১ রানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফের দিকে এক পা বাড়াল প্যাট কামিন্সের দল।
আরও পড়ুন: তোমার যখন অভিষেক হয়েছিল, ন্যাপিতে ছিলাম- অমিত মিশ্রর বয়স নিয়ে চরম কটাক্ষ রোহিতের- ভিডিয়ো
সানরাইজার্সের রোমাঞ্চকর জয়ের পিছনে রয়েছে, চাপের মধ্যেও ভুবনেশ্বরের মাথা ঠাণ্ডা রাখা এবং তাঁর দক্ষতাকে কার্যকর করার ক্ষমতা। ম্যাচের সেরা হওয়ার পর ভুবি বলেন, ‘আমি শেষ ওভারের ফলাফল নিয়ে খুব একটা ভাবছিলাম না। শেষ ওভারের আগে কোনও আলোচনা হয়নি, শুধু প্রক্রিয়ার দিকে মনোনিবেশ করেছিলাম। আমি দু'টি ভালো বল করার কথা ভাবছিলাম। শেষ বলে যে কোনও কিছু ঘটতে পারত। শেষ বলটি একটি ফুল টস ছিল এবং ও (পাওয়েল) সেটা মিস করেছে।’ শেষ ওভারে ভুবির কোনও আলাদা ভাবনা ছিল না শুনে প্রশ্ন কর্তা মুরলি কার্তিকও কিছুটা হতবাক হয়ে যান।
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করা তারকাকে স্ট্রাইকই দিলেন না ধোনি, তার পরেই হাঁকালেন বিশাল ছক্কা- ভিডিয়ো
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘বল এতটা সুইং হয়েছে, সত্যিই বোঝাতে পারছি না, আমি এটি উপভোগ করেছি। ভাগ্যক্রমে আমি উইকেট পেয়েছি। যখন মরশুম শুরু হয়েছিল, তখন চিন্তার প্রক্রিয়াটি ভিন্ন ছিল, কিন্তু ব্যাটাররা যখন এমন ভাবে খেলে, তখন এটি বদলে যায়।’
১ রানে জয়ের পর উচ্ছ্বসিত ছিলেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অসাধারণ ম্যাচ ছিল। এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, যখন খুশি যে কোনও কিছু ঘটতে পারে। শেষ বলে ভুবি ম্যাচ জিতিয়ে দেয়। নটরাজন একজন ভালো ইয়র্কার বোলার এবং ভাগ্যক্রমে আমরা কিছু উইকেটও পেয়েছি।’
কামিন্স নিজেও রাজস্থানের ১৯তম ওভারে বল করতে এসে, ৭ রান দেন। এবং ধ্রুব জুরেলকে সাজঘরে ফেরান। ওভারের শেষ বলে পাওয়েল কামিন্সকে ছক্কা হাঁকানোয় রাজস্থান অক্সিজেন পেলেও, শেষ রক্ষা অবশ্য হয়নি।