শ্রীলঙ্কার স্টার ব্যাটসম্যান কামিন্দু মেন্ডিসের অসাধারণ ফর্ম যেন থামার নাম নিচ্ছে না। অভিষেকের পর থেকে নিজের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ করেছেন সকলকে। জুলাই ২০২২ সালে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়। তারপর থেকে যেকটা ম্যাচ খেলেছেন তাতে অন্তত ১ ইনিংসে অর্ধশতরান করেছেন তিনি। বিগত ৬টি টেস্ট ম্যাচেই তাঁর এই কৃতিত্ব ছিল। এবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করে টানা সপ্তম টেস্ট ম্যাচে এই ধারা বজায় রাখেলন তিনি। ১৪৭ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এই ঘটনা একবারই ঘটেছে। গতবছর পাকিস্তানের ক্রিকেটার সউদ শাকিল এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন কামিন্দু ।
এর আগে নিজেদের প্রথম ৬ টেস্টে ভারতের সুনীল গাভাসকর, পাকিস্তানের সৈয়দ আহমেদ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাসিল বুচার এবং নিউজিল্যান্ডের বার্ট সাটক্লিফের অর্ধশতরান হাঁকানোর রেকর্ড আছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কামিন্দুর শতরান শ্রীলঙ্কাকে ঘরের মাঠে ৩০০ রানের গণ্ডি পার করতে সহায়তা করেছে। লাঞ্চের পর শ্রীলঙ্কা যখন ১০৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে সম্যসায়, তখন ব্যাট হাতে ক্রিজে এসে দলকে দিশা দেখায় কামিন্দু। ম্যাচ শেষে বুধবার তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা ৩৫০ রানের আশেপাশে করার লক্ষ্য রাখছে। যদিও এদিন ১১৪ রানে আজাজ প্যাটেলের বলে আউট হয়ে গেছিলেন কামিন্দু।
কামিন্দু বলেন, 'এই শতরান আমার কাছে খুব স্পেশাল, কারণ এটি আমার শহরের মাঠে করা। আমার বড় রান করা উচিত ছিল। তবে যেই বলটি করা হয়েছিল তাতে আমার কিছু করার ছিল না'। কামিন্দু শিরোনমে উঠে এসেছিল তাঁর দু’হাত দিয়ে সমান দক্ষতায় ব্যাট এবং বোলিং করার জন্য। তিনি তাঁর জীবনের ৭টি টেস্ট ম্যাচে ৪টি শতরান এবং ৪টি অর্ধশতরান করেছেন। ইতিমধ্যেই টেস্ট ক্রিকেটে ৮০০-র অধিক রান করে ফেলেছেন কামিন্দু। প্রথম দিনে চা বিরতির আগে ১৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ষষ্ঠ উইকেটের জন্য ১০৩ রান যোগ করেন কুশল মেন্ডিস এবং কামিন্দু। এরপর দ্বিতীয় দিনে খুব বেশি এগোতে পারেনি লঙ্কা ব্রিগেড। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৩০৫ রান করতেই সক্ষম হয়। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন উইলিয়াম।