অল্পের জন্য নিজের কেরিয়ারের প্রথম দ্বিশতরান পেলেন না শ্রীলঙ্কার ক্রিকটোর কামিন্দু মেন্দিস। অবশ্য এক্ষেত্রে তাঁর কোনও ব্যর্থতা নেই। তাঁকে দ্বিশতরান করা থেকে বঞ্চিত করল তাঁরই দলের কোচ এবং অধিনায়ক। নাহলে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে ফেলতে পারতেন শ্রীলঙ্কার এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। অবশ্য তিনি দ্বিশতরান না পেলেও গত ৭৪ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল নজির গড়ে ফেললেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে, যা আর কারোর নেই।
শ্রীলঙ্কা দলের হয়ে যেদিন থেকে টেস্টে খেলতে নেমেছেন, কিছু না কিছু করে দেখিয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিক সময় ইংল্যান্ড সিরিজ হোক বা নিউজিল্যান্ড সিরিজ, প্রতি ম্যাচেই নিজের ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত নিদর্শন রেখেছেন এই ক্রিকেটার। টানা ৮ ম্যাচে টেস্ট ফরম্যাটে অর্ধশতরানের নজির গড়েছিলেন বৃহস্পতিবার, আর শুক্রবারই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তিনি নাম তুললেন ক্রিকেটের আরেক রেকর্ড বুকে।
১৯৫০ সালের পর থেকে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দ্রুততম টেস্টে ১০০০ রান পূরণ করলেন শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্দিস। মাত্র ১৩ ইনিংসেই তিনি পেরিয়ে গেলেন টেস্টে হাজার রানের গণ্ডি। এর আগে ইংল্যান্ডের হার্বার্ট সাটক্লিফ ১০০০ রানের গণ্ডি টেস্টে টপকেছিলেন ১২ ইনিংসে ১৯২৫ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভার্টন উইকস টপকেছিলেন ১০০০ রানের গণ্ডি ১২ ইনিংসে ১৯৪৯ সালে। স্যার ডন ব্র্যাডম্যান এই নজির গড়েন ১৩ ইনিংসে, ১৯৩০ সালে। এবার স্যার ডন ব্র্যাডমানের পাশেই নাম তুললেন কামিন্দু মেন্দিস। তিনি ১৩ ইনিংসেই টেস্টে টপকালে ১০০০ রানের গণ্ডি, ১৯৪৯ সালের পর থেকে এই দ্রুততম ক্রিকটোর হিসেবে গড়লেন এই নজির।
আরও পড়ুন-ভারত দেশের মাটিতে অপরাজেয়! পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনাই আসে না…অকপটে জানালেন শাকিব…
৫ উইকেটে ৬০২ রান তুলে শ্রীলঙ্কার ইনিংস ডিক্লিয়ার করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক ধনঞ্জয় ডি সিলভা। এক্ষেত্রে তিনি যে জুনিয়র ক্রিকেটারের পাশে খুব একটা দাঁড়াননি তা পরিস্কার, মনে করছে ক্রিকেটমহল। কারণ কামিন্দু মেন্দিস ব্যাটিং করছিলেন অপরাজিত ১৮২ রানে। স্ট্রাইক রেট ছিল ৭৩। মেরেছিলেন ১৬টি চার এবং চারটি ছয়। ফলে তাঁকে দ্রুত বাকি ১৮ রান তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রেকর্ড বুকে জায়গা করে দিতে পারতেন লঙ্কান অধিনায়ক।
এক্ষেত্রে দলের স্বার্থের দোহাই দিয়ে কামিন্দুকে যে দ্বিশতরান করতে দেওয়া হল না, তা মনে করছে নেটিজেনরা। কারণ আরও ২-৩ ওভার পেলেই হয়ত দ্বিশতরান সেড়ে নিতে পারতেন তিনি, যা তাঁকে আরও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস দিত আগামী সিরিজের আগে। আখেরে যার জেরে লাভ হত শ্রীলঙ্কা দলেরই।