আইসিসির সঙ্গে চালাকির শাস্তি। নির্বাসনের কোপ এসে পড়ল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার প্রবীণ জয়াবিক্রমের ওপর। আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখাকে বিপথে চালিত করার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তদন্তে অসহযোগিতার পাপাশাশি আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার কাজও যাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়, এমই কর্মকাণ্ডই নাকি ঘটিয়েছেন শ্রীলঙ্কার এই লেগ স্পিনার।
নির্বাসিত প্রবীণ জয়াবিক্রমে…
আইসিসির কোড অফ কনডাক্টের ২.৪.৭ ধারা অনুযায়ী ১ বছরের জন্য প্রবীণ জয়াবিক্রমেকে নির্বাসিত করেছে আইসিসির, তাঁর মধ্যে ছয় মাসের নির্বাসন লোপ করা হয়েছে। আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তে প্রমাণ লোপাট, তথ্য লুকিয়ে যাওয়া, তদন্তে বিলম্ব এবং বাধা দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। সেই কারণেই তাঁকে এই শাস্তির মুখে পড়তে হল।
২০২২ সালে শেষবার শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন এই লেগ স্পিনার। পাঁচটি টেস্ট ম্যাচে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়ে পাঁচটি ওডিআই এবং পাঁচটি টি২০ ম্যাচেও খেলেছেন তিনি। দেশের হয়ে ১৫টি ম্যাচে তিনি নিয়েছিলেন ৩২টি উইকেট। যদিও সাম্প্রতিক সময় খারাপ পারফরমেন্স এবং একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের জেরে তিনি জাতীয় দলে আর সেভাবে সুযোগ পাননি।
ঠিক কি অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে?
শ্রীলঙ্কার প্রিমিয়র লিগের এক ঘটনার জন্য এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে প্রবীণকে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, এই লিগ আইসিসির আওতায় না থাকলেও শ্রীলঙ্কার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কোনওরকম দুর্নীতি হলে তা খতিয়ে দেখার কথা আইসিসিরই। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল। তদন্তে দেখা যায়, তিনি এমন কিছু কাজ করেছেন যেটা ক্রিকেট স্পিরিটের বিরোধী এবং আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার কাজের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃ্ষ্টি হয়েছে। এরপরই তাঁকে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আইসিসির চুক্তির ১.৭.৪.১ এবং ১.৮.১ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করল বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন প্রবীণও। ১ বছরের নির্বাসন হলেও পরের ছয় মাসের নির্বাসন কার্যকর হবে না বাঁহাতি লেগ স্পিনারের ওপর। কারণ আগে থেকেই তিনি খেলতে পারছেন না।