আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই শুরু হয়ে যাচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্ট। অ্যাডিলেডে পিঙ্ক বল টেস্টের আগে দুই দলই বেশ চিন্তায়। কারণ গোলাপী বলের টেস্ট সব সময়ই ফিফটি ফিফটি হয়। একদিকে যেমন ভারতীয় দল যদি এগিয়ে যায় ২-০তে তাহলে অজিদের পক্ষেও ফিরে আসা কঠিন হবে। আবার অস্ট্রেলিয়া যদি সিরিজ ১-১ করে নেয়, তাহলে আবার অজিদের কামব্যার রোখাও ভারতের পক্ষে কঠিন হতে পারে।
আরও পড়ুন-ভারত প্রথম টেস্টে জিতবে! জানতেন মহারাজ! লিড নিতেই করেছিলেন মাইকেল ভনকে টেক্সটও…
এই আবহেই পিঙ্ক বল টেস্ট নিয়ে নিজের মতামত দিলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটার স্টিভ স্মিথ। অবশ্য তাঁকে ক্রিকেট বিশ্বে তারকা মানা হলেও পারফরমেন্স পার্থ টেস্টে মোটেই তাঁর ভালো ছিল না। পার্থে দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর স্কোর ছিল ১৭। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে স্মিথ বলছেন, ‘পিঙ্ক বলের টেস্ট যখন তখন চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠতে পারে। নির্ভর করছে বোলিং করছি না ব্যাটিং করছি, বলের অবস্থা কেমন রয়েছে তাঁর ওপর। কখনও কখনও গোলাপী বল কিছু অপ্রত্যাশিত ব্যবহার করে। তাই খুব ফোকাসড থাকতে হচ্ছে এই ম্যাচে। ’।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিনস বলছেন, ‘বেসিকগুলো ঠিক রাখতে হবে দলকে। এরপর বাকিটা তো খেলার পরিস্থিতি অনুযায়ী হবে। তবে অনেকক্ষেত্রেই বল শক্ত থাকছে, না নরম হয়ে যাচ্ছে। বা কতটা পুরনো হয়ে যাচ্ছে, তার ওপর খেলার ভাগ্য নির্ভর করে। তবে এর বাইরেও মনে রাখতে হবে, যে এটা টেস্ট ক্রিকেট ’।
আরও পড়ুন - তিনটি আলাদা নেটে বিশেষ অনুশীলন! অ্যাডিলেডে রানে ফিরতে মরিয়া ল্যাবুশেন
ট্রাভিস হেড অবশ্য পিঙ্ক বল টেস্ট ভালোই খেলেন। গোলাপী বলের আটটি টেস্টে হেড করেছেন জোড়া শতরান এবং তিনটি অর্ধশতরান। সেই হেড অ্যাডিলেডের ম্যাচের আগে বলছেন, ‘উইকেটটা ব্যাটারদের জন্য কঠিন হতে পারে। কারণ ড্রপ ইন উইকেট, তবে আমার মনে হয় ওই উইকেটটা আমায় স্যুট করে। আমি দিন রাতের টেস্টে অনেকটা ব্যাটিং করেছি, সেই ছন্দই বজায় রাখার চেষ্টা করব। আমার অনেক বন্ধুরা খেলা দেখতে আসবে, তাই চেষ্টা করব অবশ্যই নিজের সেরাটা দেওয়ার ’।
গোলাপী বলের টেস্ট কিন্তু ভারতীয় দলের ব্যাটারদের কাছেও কঠিনই হতে চলেছে। কারণ দেশের মাটিতে গোলাপী বলে টেস্ট খেলা, আর অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট পিচে অন্যরকম বলে খেলার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। টিম ইন্ডিয়া নিশ্চয় চাইবে দিনের আলোতেই বেশিরভাগ সময় ব্যাটিং করতে। যাতে রাতের দিকে শিশির পড়লে বা অন্ধকারে বলের সুইং বাড়লে, খেলতে অসুবিধা না হয়। কারণ ভারতীয় দল সচরাচর দিন রাতের টেস্ট খেলে না।