আইপিএলে কেউ নেননি। কিন্তু বিগ ব্যাশ লিগে দুরন্ত ব্যাটিং স্টিভ স্মিথের। এদিন ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি থেকেই ফর্মে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শুরুটা ভালো না হলেও তৃতীয় টেস্ট থেকে চেনা ছন্দে দেখা যায় তাঁকে। গাব্বায় প্রথম ইনিংসে ১৯০ বলে ১০১ রান করেছিলেন তিনি। এরপর মেলবোর্নে প্রথম ইনিংসে ১৯৭ বলে ১৪০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। যার সুবাদে সিরিজে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১০ বছর পর অজিদের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন স্মিথ। সেই ছন্দ ধরে রেখেছে বিগ ব্যাশে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের সিরিজের আগে প্রস্তুতি হিসেবে এই ঘরোয়া ক্রিকেট লিগকে বেছে নিয়েছেন স্মিথ।
বিগ ব্যাশে তৃতীয় সেঞ্চুরি স্মিথের:
শনিবার বিগ ব্যাশ লিগে মুখোমুখি হয়েছিল সিডনি সিক্সার্স এবং পার্থ স্কচার্স। সেখানেই সিডনির হয়ে ব্যাট করার সময় চমৎকার সেঞ্চুরি হাঁকান স্টিভ স্মিথ। দলের হয়ে ওপেন করতে এসে ৬৪ বলে ১২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এদিন ১০টি চার এবং ৭টি ছয় মারেন স্মিথ, স্ট্রাইকরেট ছিল ১৮৯.০৬। এটি স্মিথের বিগ ব্যাশ লিগের তৃতীয় সেঞ্চুরি ছিল। এর ফলে তিনি যুগ্ম ভাবে এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি হাঁকানো প্লেয়ার হলেন। ছুঁয়ে ফেললেন বেন ম্যাকডারমটকে। এটি চলতি BBL-এর প্রথম ম্যাচ ছিল স্মিথের। গত বছর এই প্রতিযোগিতায় মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি, হয়েছিলেন গোল্ডেন ডাক।
ম্যাচে জয় পেল স্মিথের দল:
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পার্থ স্কচার্স। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তোলে সিডনি সিক্সার্স। স্মিথ ছাড়া সিডনির হয়ে ২৮ বলে ৪৬ রান করেছিলেন অধিনায়ক মইসেস হেনরিকুইস। রান তাড়া করতে নেমে লড়াইটা ভালোই দিয়েছিল পার্থ স্কচার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান তুলেছিল তারা। ম্যাচে ১৪ রানে জয় পায় সিডনি। পার্থের হয়ে ৩২ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক অ্যাশটন টার্নার। সিডনির হয়ে বল হাতে ৪ উইকেট নেন শন অ্যাবট। বর্তমানে লিগে এক নম্বরে রয়েছে সিডনি সিক্সার্স। ৮ ম্যাচ খেলে ৫টিতে জয় পেয়েছে তারা।