বিহারের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে অধিনায়কোচিত শতরান করে বাংলাকে জয় এনে দেন সুদীপ ঘরামি। এবার মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন সুদীপ। মাত্র এক রানের জন্য ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া করেন বাংলা দলনায়ক।
মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তবে শেষবেলায় ব্যাট হাতে ঝড় তুলে মহম্মদ শামি বাংলাকে লড়াই করার রসদ এনে দেন।
রবিবার হায়দরাবাদের উপ্পলে বিজয় হাজারে ট্রফির ই-গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে বাংলা ও মধ্যপ্রদেশ। টস জিতে মধ্যপ্রদেশ দলনায়ক রজত পতিদার শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাকে। দুই সুদীপ ও শামির ব্যাটে ভর করে বাংলা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৬৯ রান সংগ্রহ করে।
সেঞ্চুরি হাতছাড়া সুদীপের
ওপেন করতে নেমে অভিষেক পোড়েল ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭ বলে ৯ রান করে আউট হন। অপর ওপেনার সুদীপ ঘরামি ব্যক্তিগত ৯৯ রানে আউট হয়ে বসেন। ১২৫ বলের লড়াকু ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ৫৭ বলে ৪৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। তিন রানের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় তাঁর। তিনি ৪টি চার মারেন।
অনুষ্টুপ মজুমদার ২৫ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ১টি চার মারেন। ৬ বলে ৩ রান করে মাঠ ছাড়েন সুমন্ত গুপ্ত। ১৬ বলে ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন করণ লাল। তিনি ১টি ছক্কা মারেন। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০ বলে ৫ রান করেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক।
দাপুটে ব্যাটিং শামির
আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মহম্মদ শামি ৩৪ বলে ৪২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২১ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন কৌশিক মাইতি।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে আবেশ খান ১০ ওভারে ৬২ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন। আরিয়ান পান্ডে ১০ ওভারে ৪০ রান খরচ করে একজোড়া উইকেট সংগ্রহ করেন। ৯ ওভারে ৫৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন সরাংশ জৈন। ৯ ওভারে ৩৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন সাগর সোলাঙ্কি। বেঙ্কটেশ আইয়ার ২ ওভারে ১৪ রান খরচ করেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি। ১০ ওভারে ৫৫ রান খরচ করেও উইকেটহীন থাকেন রাহুল বাথাম।