হংকং ইন্টারন্যাশনাল সিক্সেসে প্রথমবার অংশ নিয়েই চমক নেপালের। টুর্নামেন্টে নিজেদের ২টি গ্রুপ ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের উঠল তারা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নেপাল শুক্রবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে পরাজিত করে ইংল্যান্ডকে। শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের কাছে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ, টুর্নামেন্টে আক্ষরিক অর্থেই জায়ান্ট কিলার হয়ে দেখা দেয় নেপাল।
নেপালের এমন চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্সের জন্যই খেতাবের লড়াই থেকে ছিটকে যেতে হয় ইংল্যান্ডকে। এই গ্রুপ থেকে এক নম্বর দল হিসেবে শেষ আটের টিকিট পকেটে পোরে নেপাল। দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে অস্ট্রেলিয়া।
নেপাল বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচ
শুক্রবার বি-গ্রুপের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১০ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে পরাজিত করে নেপাল। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। তারা ৫.৫ ওভারে ৯৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ক্যাপ্টেন রবি বোপারা ১২ বলে ৪৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। তিনি ১টি চার ও ৭টি ছক্কা মারেন। ১৭ বলে ৩৯ রান করেন সমিত প্যাটেল। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। শূন্য রানে আউট হন অ্যালেক্স ডেভিস ও জর্ডন থম্পসন। নেপালের হয়ে প্রতীস জিসি ২ ওভারে ১৮ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নেপাল ৪.২ ওভারে বিনা উইকেটে ৯৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১২ বলে ৫০ রান করে অবসৃত হন ক্যাপ্টেন সন্দীপ জোরা। তিনি ৩টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন রশিদ খান। ম্যাচের সেরা হন সন্দীপ।
নেপাল বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ
শনিবার অস্ট্রেলিয়াকে ১১ রানে হারিয়ে দেয় নেপাল। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নেপাল নির্ধারিত ৬ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১১১ রান সংগ্রহ করে। ফের হাফ-সেঞ্চুরি করেন ক্যাপ্টেন সন্দীপ। তিনি ১৬ বলে ৫১ রান করে ব্যাট ছেড়ে দেন। মারেন ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা। ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ৩৩ রান করেন লোকেশ বাম। ২টি ছক্কার সাহায্যে ২ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন রশিদ খান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৬ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১০০ রানে আটকে যায়। ১৫ বলে ৫৫ রান করেন জ্যাক উড। তিনি ৪টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। প্রতীস জিসি ২ ওভারে ২৪ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। ম্যাচের সেরা হন তিনিই।