ভারত বাংলাদেশেকে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের নামে করেছে। সেখানেই ধারাভাষ্যকর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাসকর এবং প্রাক্তন বাংলাদেশি ক্রিকেটার আতহার আলি খান। টেস্টের পঞ্চম দিনে গাভাসকর বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে মজা করতে পিছুপা হলেন না। চতুর্থ দিন থেকে দ্বিতীয় টেস্টে চালকের আসনে বসে ভারত। পঞ্চম দিনেও ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখে। শেষ দু’দিনে ভারতীয় বোলাররা ১৭ উইকেট নেন। যা থেকে ভারতের বোলিং এবং বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মান সামনে চলে আসে।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এক সময় ৩ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান করেছিল। দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাচ ড্র হয়ে যাবে। কিন্তু তখনই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। মাত্র ৩ রানের মধ্যেই আরও ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে শাকিবরা। সেইসময় আতহার, গাভাসকরকে প্রশ্ন করেন তিনি বাংলাদেশি ব্যাটম্যানদের কী পরামর্শ দেবেন। সেই সময় ভারতের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার হেসে উত্তর দেন, ‘আমি ভারতীয় হিসেবে বলব, তাড়াতাড়ি আউট হয়ে ফিরে এসো’।
প্রসঙ্গত, কানপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। প্রথম দিন থেকে খেলায় বাঁধ সাধে বৃষ্টি। ভারত টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রথম দিন মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়। বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান করে। এরপর দু’দিন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে খেলা সম্ভব হয় না। চতুর্থ দিন খেলা শুরু হলে ভারতের মধ্যে ম্যাচ জেতার জন্য বাড়তি তাগিদ লক্ষ্য করা যায়। জসপ্রীত বুমরাহ-রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের দাপটে ২৩৩ রানে অলডাউন হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই করে ভারত। যশস্বী জসওয়াল-কেএল রাহুলদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান করে টিম ইন্ডিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতীয় বোলারদের দাপট অব্যাহত থাকে। দাঁড়াতেই পারেননি শাকিব-শান্তরা। ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন প্রত্যেক ভারতীয় বোলার। ভারতের ম্যাচ জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯৫ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭.২ ওভারে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন বিরাট-ঋষভরা। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের জায়গা আরও পোক্ত করল ভারত। উল্লেখ্য, এর আগে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট ম্যাচেও বাংলাদেশকে ২৮০ রানে পরাজিত করেছিল ভারত।