ভারতীয় ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়ায় মাটিতে গিয়ে বর্ডার গাভাসকর সিরিজে কার্যত পর্যুদস্ত হয়েই হেরেছে। ১-৩ ফলে সিরিজ হারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে ঠিক কি গেছে টিম ইন্ডিয়ার ওপর দিয়ে। এর মধ্যে গাব্বা টেস্ট ড্র না হলে হয়ত টিম ইন্ডিয়া এই সিরিজ ৪-১ ফলে হারতে পারত। সেটা হয়নি, তবে WTC ফাইনাল হাতছাড়া হয়েছে দুই সংস্করণের পর।
আরও পড়ুন-ISL - ১১তারিখ ডার্বি হচ্ছে না কলকাতায়! সরতে পারে ভুবনেশ্বরে! FSDLর দিকেই তাকিয়ে মোহনবাগান
বর্ডার গাভাসকর ট্রফি হার ভারতের-
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতীয় ব্যাটারদের খারাপ পারফরমেন্স নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। টিম ইন্ডিয়ার ওপেনার যশস্বী জসওয়াল বাদ দিলে কোনও ব্যাটারই সেরকমভাবে দাগ কাটতে পারেননি। বিরাটের একটা শতরান বা রাহুলের একটা আধটা লড়াকু অর্ধশতরান দিয়ে যে সিরিজ জেতা যায় না, সেটা সকলেরই জানা। বোলিংয়ের অবস্থাও যত কম বলা যায় ততই ভালো।
আরও পড়ুন-BGTতে ব্যর্থ হলেও এখনই অবসর নয় বিরাটের! তবে টেস্ট দলে ঢুকতে দিতে হবে লাল বলে পরীক্ষা!
ক্রিকেটারদের একা দোষারোপ করছে না গাভাসকর-
বিরাট কোহলির রান সংখ্যা পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২০০ পেরোতে পারেনি। রোহিত শর্মার অবস্থা তো আরও খারাপ ছিল। তিনি তো তিন ম্যাচ খেলে দলকেও জেতাতে পারেননি। আবার ব্যাট হাতে তিন ম্যাচ মিনিয়ে ৫০ রানও করতে পারেননি। গিলের অবস্থাও একইরকম। পন্ত কয়েকটা ইনিংসে ধুন্ধুমার ইনিংস খেললেন বটে, তবে অধিকাংশ ইনিংসেই তিনি ডোবালেন টেস্ট খেলার মানসিকতা বা টেম্পারমেন্টের অভাবে। ক্রিকেটারদের নিয়ে তুমুল সমালোচনার মধ্যেই এবার দামি কথা বললেন সুনীল গাভাসকর।
আরও পড়ুন-‘আরও গোল করতে পারতাম’, ৩ গোলে জিতেও বলছেন মোলিনা! লিস্টনের ভাবনায় এখন শুধুই ডার্বি
টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন-
১৯৮৩র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলছেন, ‘যেভাবে আমরা দেশেরম মাটিতে ৪৬ অলআউট হয়েছে, ব্যাটিংয়ে একদমই দম দেখাতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে । কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাটারদের সমস্যা কেন হচ্ছে? এমন যদি হত অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করছেন, তাহলে বিষয়টা আলাদা হত। সেটা অনেক বড় ক্রিকেটারেরও হয়েছে, ভালো বোলিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা। কিন্তু এখানে তেমন দুর্ধর্ষ বোলিও হয়নি, তাহলে এতদিন ধরে কি টেকনিক শেখানো হল? ’।
আরও পড়ুন-পিঠে খিঁচ মনে হচ্ছে না! বুমরাহর চোট নিয়ে ভারতীয় শিবিরের অন্দরের খবরে অবিশ্বাস পন্টিংয়ের
কোচিং স্টাফদের দিকে প্রশ্ন সানির-
কোচিং স্টাফদের নিশানা করে সানি বলছেন, ‘এখন অনেকে প্রশ্ন করছেন এই ক্রিকেটারদের খেলানো উচিত কিনা, কিন্তু সেই সঙ্গে এই প্রশ্নটাও তো উঠবে, যে কোচিং স্টাফরা তাহলে এতদিন ধরে কি করলেন? কেন কোনও উন্নতি হল না দলের ব্যাটিংয়ে? এসব থ্রোডাউন দিয়ে কিছু হয় না। টেকনিক আর টেম্পারমেন্ট তো ঠিক করে নি কোচিং স্টাফরা। তাই ক্রিকেটারদের রান না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কোচিং স্টাফদের দিকেও প্রশ্ন করা উচিত, তারা কি করলেন এতদিনে? এরপর টেস্ট সিরিজ রয়েছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। হাতে ২-৩ মাস সময় আছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা বলছি না, টেস্ট নিয়ে ভাবছি। তাই ক্রিকেটারদের সেখানে সুযোগ দেওয়া হবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠলে স্টাফদের নিয়েও প্রশ্ন ওঠা উচিত’।