কয়েক মাসের অপেক্ষা, তারপরই শুরু বহুকাঙ্খিত ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্টে সিরিজ। বর্ডার গাভাসকর টেস্ট সিরিজের আগে ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন খোদ গাভাসকর। তিনি জানিয়ে দিলেন এই সিরিজে কি ফল হতে চলেছে। অক্টোবর মাসেই অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাবে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা এই সিরিজ খেলতে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অঙ্গ এই সিরিজ। অজিদের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলবে ভারত, ফলে সব ম্যাচে যদি ফল আসে তাহলে এই সিরিজ নিষ্ফলা থাকবে না। কেউ না কেউ জিতবেই।
আরও পড়ুন-ভিডিয়ো- লোপ্পা ক্যাচ মিস শাকিলের!অবাক অধিনায়ক মাসুদ! মুখে হাত দিয়ে হেসে ফেললেন আম্পায়ারও…
ইতিমধ্যেই নিজেদের দলের হয়ে বাজি ধরা শুরু করে দিয়েছেন প্রাক্তনীরা। যেমন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং, ম্যাথিউ হেডেনরা ঘরের মাঠে এগিয়ে রেখেছেন নিজেদের দেশ অস্ট্রেলিয়াকে। গত দুই সফরে টেস্ট সিরিজে হেরে ফেরেনি ভারত। সেই সাফল্য এবারেও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দেখাতে পারবে টিম ইন্ডিয়া, এই আশাই রাখছেন ভারতীয় কিংবদন্তী সুনীল গাভাসকর।
আরও পড়ুন-পিছিয়ে ৩৫৪৪ রানে! সচিনের রেকর্ড ভাঙতে পারবেন? ECB-র প্রশ্নের মুখে কি উত্তর দিলেন রুট?
বর্ডার গাভাসকর ট্রফির আগাম ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন সানি। ক্যাঙ্গারুদের ডেরায় টিম ইন্ডিয়া সিরিজ জিতবে ৩-১ ফলে, মনে করছেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। শেষ ৬ বছরে ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে সিরিজ জেতেনি অজিরা। ২০২০-২১ সালে প্রথম টেস্টে মাত্র ৩৬ রানে আউট হওয়ার ধাক্কা কাটিয়ে সিরিজ জিতেছিল ভারত। সেই সিরিজে এমন পারফরমেন্স দেখাতে পারলে বর্তমানে রোহিতের দল আরও ধারাবাহিক, তাই সানির আশা ভারতই সিরিজ জিতবে সেটাও বড় ব্যবধানেই ধারাবাহিক পারফরমেন্সের সৌজন্যে।
আরও পড়ুন-৫ বলে ৩ উইকেট! শাহিনের অনুপস্থিতিতে কোনঠাসা পাকিস্তানকে অক্সিজেন দিলেন শেহজাদ!
বর্ডার গাভাসকর সিরিজ নিয়ে সুনীল গাভাসকর বলছেন, ‘এই সিরিজ অত্যন্ত উপভোগ্য হতে চলেছে কারণ দুটি দলেই অসম্ভব ভালো প্রতিভা রয়েছে। এই সিরিজই বুঝিয়ে দেবে টেস্ট ফরম্যাট কেন ক্রিকেটের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার অনুমান ভারত সিরিজ জিতবে ৩-১ ফলে। যদি তুল্যমুল্য বিচার করা যায় তাহলে দেখা যাবে ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর ওদের ওপেনিং লাইন আপ নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। মিডল অর্ডারেও কিছু ল্যাপস থাকছে। আর ভারত সব সময় বিদেশের মাটিতে ধীরে শুরু করে। সেনা দেশগুলোয় প্রথম ম্যাচ সব সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়। কারণ তাঁর আগে খুব বেশি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকে না সেদেশে।অধিকাংশ সফরকারী দলের কাছেই এটা সমস্যার হতে পারে ’।