মেলবোর্ন টেস্টে আপাতত একরাশ লজ্জার হাত থেকে বেঁচে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। বিশাখাপত্তনমের ছেলে নীতীশ কুমার রেড্ডির চওড়া ব্যাটে ভর দিয়ে টিম ইন্ডিয়ার ফলো অন তো বেঁচেই গেছে, সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রানের সঙ্গে ব্যবধানও অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ওয়াসিংটন সুন্দরও যোগ্য সংগত দিয়েছেন নীতীশ রেড্ডিকে।
আরও পড়ুন-‘আমি কখনও আগে দ্রাবিড়কে এমন উচ্ছাস করতে দেখিনি,আমার জন্যই’! কোন রহস্য ফাঁস অশ্বিনের
উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলেন পন্ত-
দিনের শুরুতে যখন ভারতের ব্যাটারদের অনেক ধৈর্যশীল মানসিকতা দেখানোর প্রয়োজন ছিল, তখনই কিছু বাজে শট খেলতে গিয়ে আউট হন ঋষভ পন্ত। টেস্ট খেলার জন্য যে ধরণের ক্রিকেট এক সময় রাহুল দ্রাবিড়, পূজারা, কিংবা হাসিম আমলা, রিকি পন্টিংরা খেলতেন, ঋষভের শট ছিল তাঁদের থেকে একদমই আলাদা। স্কট বোল্যান্ডের বলে তিনি লিয়নের হাতে ক্যাচ তুলে দেন।
Video-ফের ল্যাবুশানের সঙ্গে বেল নিয়ে তুকতাক সিরাজের! কাজে এল! তবে এবার আউট খোয়াজা
সানির খোঁচা পন্তকে-
পন্ত যখন সাজঘরে ফেরেন তখনও ভারতীয় দল ফলো অন বাঁচানোর থেকে পিছিয়ে ৮৪ রানে। সেই সময় অনেক ঠান্ডা মাথায় উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকা দরকার ছিল, কিন্তু সেই ধৈর্য তিনি দেখাতে পারেননি মেলবোর্নে। এরপরই তাঁর ব্যাটিং এবং মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুনীল গাভাসকরও এমন শটের সমালোচনা করে বলেছেন, বোকা বোকা শট। এই সিরিজে এমন কিছু চোখে লাগার মতো এখনও পর্যন্ত পর্যন্ত করতে পারেননি পন্ত, যদিও তাঁর এমন শটের পরেও পন্তের পাশে দাঁড়াচ্ছেন রবি শাস্ত্রী।
সব সময় বাজে শট খেলে আউট হয়নি পন্ত-
ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ বলছেন, ‘ ঋষভ পন্ত কিন্তু এমন শট প্রত্যেক ইনিংসে মারার চেষ্টা করেনি। প্রত্যেকটা ইনিংসে ওর আউট হওয়া দেখলে বোঝা যাবে ২-৩বারই ভালো বোলিংয়ের শিকার হয়েছে ও। অ্যাডিলেডে খুব ভালো বল হয়েছিল, ওর কাছে অ্যাটাকিং শট খেলা ছাড়া উপায় ছিল না। পরে ও উইকেটের পিছনে কট বিহাইন্ড হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যাডিলেডে স্টার্কের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হয়। স্টার্ক কিন্তু সেখানে ভালো ফর্মে ছিল। তাই এখানে এত চাপ নেওয়ার কিছুই হয়নি। বিষয়টা এমন নয় যে ও সব সময় নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে চলে আসছে, ভালো বলেও ও কয়েকবার আউট হয়েছে।’।
পরিস্থিতি বুঝে খেলতে হবে পন্তকে-
শাস্ত্রী বলছেন পন্তকেও পরিস্থিতি বুঝে খেলতে হবে, ‘ও অনেক পরিশ্রম করেছে। ফিল্ড যখন দেখছে ছড়িয়ে রয়েছে, তখন ওকে ওর ব্যাটিং স্টাইলও পরিবর্তন করতে হবে। ওর নাম রয়েছে যে এসেই বাউন্ডারি মারতে থাকে, ফলে ফিল্ডিং ছড়িয়ে দিতে হবে। এরপরই ওকে ম্যাচুউরিটি দেখাতে হবে। আসে পাসে বল মেরে সিঙ্গল নিতে হবে। এখানে এটাই হাই রিস্ক শট ছিল, সেটা অস্বীকার করার কোনও জায়গাই নেই। ফাইন লেগ, স্লিপ, সঙ্গে বাউন্ডারি লাইনে দুজন ফিল্ডার রাখা ছিল। স্কট বোল্যান্ডও তাই বুঝেই একটু ওপরে বোলিং করেছিল, কিন্তু বলটা ব্যাটের ব্লেডে সরাসরি আসেনি। ’