বৃহস্পতিবার থেকে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে ভারত বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ। সেই সিরিজের আগেই পাকিস্তানকে তাঁদের ঘরের মাঠে গিয়ে হারিয়ে এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ দল। ভারতের বিপক্ষেও যে তাঁরা ভালো লড়াই দেবে সেকথা হলফ করেই বলা যায়। এই আবহেই এবার প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর সতর্ক করলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। আসলে ভারত যে ঘরের মাঠে যে কোনও দলের বিরুদ্ধেই ফেভারিট হিসেবে নামে সেকথা সকলেরই জানা, কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশকে একদম হেলাফেলা করাও যে রোহিতদের উচিত নয়, সেকথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন ৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন-কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে ধাক্কা মহমেডানের! ক্যালকাটা কাস্টমসের কাছে ২-১ গোলে হার…
ভারতের উইকেট বরাবরই স্পিন সহায়ক হয়, প্রথম দুদিন তেমন টার্ন না থাকলেও উইকেটে তৃতীয় দিন থেকেই সচরাচর টার্ন দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ দলে এখন ভালো স্পিনাররা রয়েছেন। শাকিব যেমন অভিজ্ঞ, তেমন পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া মেহেদি হাসান মিরাজও রয়েছেন তাঁদের দলে। সেই কারণে লড়াইটা যে ভারতের পক্ষে একদম সহজ হবে, তা মানতে নারাজ সুনীল গাভাসকর।
আরও পড়ুন-বদলালো না রেকর্ড! ডেভিস কাপে ৬-৬ সুইডেনের! মাস্ট উইন ম্যাচে হার রামনাথন-বালাজি জুটির…
২০০৭ বিশ্বকাপ হোক বা ২০১২ এশিয়া কাপ, কিন্তু ২০১৫ বা ২০২২ সালের সিরিজ হার। ভারতকে মাঝে মধ্যেই সমস্যায় ফেলেছে বাংলাদেশ, হয়ত ধারাবাহিকভাবে নয়, তবুও কালেভদ্রে হলেও ভারত হারবে বাংলাদেশের কাছে সেটা মেনে নেওয়া কঠিন। সেকথা মনে করিয়েই সুনীল গাভাসকর বলছেন, 'পাকিস্তানকে তাঁদের ঘরের মাঠে হারিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ বুঝে গেছে, তাঁরা এখন সমীহ করার মতোই শক্তি। যখনই বাংলাদেশে ভারতকে খেলতে গেছে, তখন ভালো লড়াই দিয়েছে ওরা। আর পাকিস্তানকে হারানোয় ভারতের বিরুদ্ধে ভালো লড়াই দেওয়ার জন্য তৈরি রয়েছে বাংলাদেশ। তাঁদের বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যেমন রয়েছে, তেমনই নতুন কিছু প্রতিভা রয়েছে যারা আর ভয় পায় না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুর দিকে যেমন বড় দলকে ওরা ভয় পেত। এখন যখন অন্য দলগুলো বুঝে গেছে বড় দলকে বেগ দিতে পারে বাংলাদেশ, তাই এই সিরিজও নজর রাখার মতোই হবে ' ।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৭ সেপ্টেম্বর কানপুরে। এই দুই টেস্ট যদি রোহিত শর্মার দল জিতে নেয়, তাহলে শীর্ষস্থান যেমন আইসিসির বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় বজায় থাকবে ভারতের, তেমনই ফাইনালে যাওয়ার দিকেও দুধাপ এগোবে। মোট ৬টা টেস্ট ভারতকে জিততে হবে আগামী ১০টি টেস্টের মধ্যে।