ঋষভ পন্ত সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সফরে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। পাঁচ টেস্টে তিনি মাত্র ২৫৫ রান করেছেন। এই সময়ে তাঁর গড় ছিল ২৮.৩৩ রান। এই রানটা অবশ্য ঋষভের মানের তুলনায় খুবই গড়পড়তা। পুরো সিরিজে তিনি মাত্র একটি অর্ধশতক করেছিলেন, যদিও সেটি সিডনিতে সিরিজের শেষ টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছিল।
চতুর্থ টেস্টে পন্তের শট নির্বাচন নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল। বিশেষ করে ঋষভ পন্তের এই উইকেট ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর। ২৭ বছর বয়সি উইকেটরক্ষক তথা ব্যাটার তখন ধৈর্য ধরে ব্যাট করছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স কৌশলগতভাবে ট্র্যাভিস হেডকে আক্রমণে আনেন, সম্ভবত পন্তকে আক্রমণাত্মক শট খেলতে প্রলুব্ধ করার জন্য। পরিকল্পনাটি সফল হয়, কারণ পন্ত থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে বসেন। আর ভারত শেষ পর্যন্ত মেলবোর্নে ১৮৪ রানের ব্যবধানে হেরে যায়।
আরও পড়ুন… কেন ভারতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছেন না রুতুরাজ? রহস্য ফাঁস করলেন অশ্বিন
ঋষভ পন্তের ব্যাটিং করার সময়ে শট মারার সিদ্ধান্তকে ‘বোকামি’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুনীল গাভাসকর। তবে ভারতের প্রাক্তন পেসার জাহির খান, যিনি আসন্ন আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসে পন্তের সঙ্গে কাজ করবেন, এই সমালোচনার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কথা বলেছেন। জাহির খান মনে করেন, শুধু পন্ত নয়, সব ব্যাটারকেই তাদের স্বাভাবিক খেলার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত এবং তাদের সহজাত প্রবৃত্তির ওপর আস্থা রাখা উচিত।
আরও পড়ুন… IND vs ENG 1st T20I: শামিই আজকের ম্যাচের স্টার, দর্শকরা ওঁর জন্য আসবেন, অকপট স্নেহাশিষ
জাহির খান ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু ঋষভ নয়, দলের প্রতিটি ব্যাটারকেই আমি সেই স্বাধীনতা দেব। তাদের নিজেদের সহজাত প্রবৃত্তির ওপর আস্থা রাখা উচিত। সকলেই দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্তরে ক্রিকেট খেলছেন এবং খেলার গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে তারা জানেন।’ জাহির খান আরও বলেন, ব্যাটারদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যেন বিভ্রান্ত না করা হয়, কারণ আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন… IPL-এ রেকর্ড অর্থ পাওয়া পন্তের ভারতীয় একাদশে জায়গা পাওয়া কঠিন, ইঙ্গিত মিলল সূর্যের কথায়
জাহির খান বলেন, ‘আমার দৃষ্টিভঙ্গি হল, খেলাটা হবে মাঠে এবং নির্দিষ্ট মুহূর্তেই খেলতে হয়। সেই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় যেন কোনও দ্বিধা না থাকে। সিদ্ধান্তটি সহজ ও স্বতঃস্ফূর্ত হতে হবে, অবশ্যই দলের লক্ষ্য মাথায় রেখে। দলগতভাবে জয়ী হওয়া এবং দলগতভাবে হার মানা – এটাই মূল বিষয়। যখন আপনি একটি দলীয় খেলায় অংশ নিচ্ছেন, তখন দলের প্রয়োজন অনুযায়ীই খেলতে হবে। এই স্বাধীনতা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের থাকবে।’