মহম্মদ শামি জাতীয় দলে যোগ দেওয়ায় হরিয়ানার বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে বাংলার হয়ে মাঠে নামতে পারেননি। অভিমন্যু ঈশ্বরন, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, শাহবাজ আহমেদকে ছাড়াই মাঠে নামে বাংলা। কার্যত আধা শক্তির দল নিয়ে লড়াইয়ে নেমেও হরিয়ানাকে বেকায়দায় ফেলেন অনুষ্টুপ মজুমদাররা।
কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে রঞ্জির এলিট সি-গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে বাংলা ও হরিয়ানা। টস জিতে বাংলার ক্যাপ্টেন অনুষ্টুপ শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান হরিয়ানাকে। ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্তকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে হরিয়ানার প্রথম ইনিংস সস্তায় গুটিয়ে দেয় বাংলার বোলাররা। বিশেষ করে সুরজ জসওয়ালকে সামলাতে হিমশিম খায় হরিয়ানার ব্যাটাররা।
হরিয়ানা প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫৭ রানে অল-আউট হয়। তাদের ইনিংস স্থায়ী হয় ৪৪.৫ ওভার। ওপেন করতে নেমে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন ক্যাপ্টেন অঙ্কিত কুমার। তিনি ৫৬ বলে ৫৭ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। অঙ্কিত মোট ১১টি চার মারেন।
লক্ষয় দালাল ৮০ বলে ২১ রান করে আউট হন। তিনি ৪টি চার মারেন। ৩৫ বলে ২৪ রান করেন নিশান্ত সিন্ধু। তিনি ৫টি চার মারেন। ৩৩ বলে ২২ রান করেন উইকেটকিপার রোহিত শর্মা। তিনি ৪টি চার মারেন। দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি হরিয়ানার আর কোনও ব্যাটার।
হিমাংশু রানা ১৪ বলে ৪ রান করে আউট হন। ধীরু সিং ১৫ বলে ৬ রান করে মাঠ ছাড়েন। ১৩ বলে ৬ রান করেন জয়ন্ত যাদব। ১৫ বলে ২ রান করেন অংশুল কাম্বোজ। খাতা খুলতে পারেননি অনূজ ঠাকরাল, সুমিত কুমার ও অজিত চাহাল।
বাংলার হয়ে প্রথম ইনিংসে ১২.৫ ওভার বল করে ২টি মেডেন-সহ ৪৬ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট নেন সুরজ জসওয়াল। ১২ ওভারে ২টি মেডেন-সহ ৫২ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন মুকেশ কুমার। ১০ ওভারে ২টি মেডেন-সহ ২৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন মহম্মদ কাইফ। উইকেট পাননি প্রদীপ্ত প্রামানিক ও রোহিত কুমার।
পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলা প্রথম দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১০ রান তোলে। তারা ৫ ওভার ব্যাট করেছে। ৯ বলে ১ রান করে আউট হয়েছেন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন অভিষেককারী অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায়।