ব্যাট হাতে মাঠে নেমেই ঝড় তোলেন ক্রিজে। একের পর এক চার-ছক্কায় মাতিয়ে তোলেন গ্যালারি। তবে ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় নিতান্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সুরেশ রায়নাকে। এভাবে আউট হয়ে দৃশ্যতই হতাশ দেখায় টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকাকে।
রায়না ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও বিধ্বংসী অর্ধশতরান করেন শিখর ধাওয়ান। ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গব্বর ম্যাচ জেতান দলকে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয় রায়নাদের।
বৃহস্পতিবার বিগ ক্রিকেট লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে সুরেশ রায়নার নেতৃত্বাধীন সাদার্ন স্পার্টান্স ও শিখর ধাওয়ানের নর্দার্ন চ্যালেঞ্জার্স। সুরাটে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সাদার্ন স্পার্টান্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০৩ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সুরেশ রায়না ২৭ বলে ৪৯ রান করে নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে রান-আউট হন। উইকেটকিপার শ্রেষ্ঠর স্ট্রেট ড্রাইভে বল বোলারের হাতে লেগে নন-স্টাইকরা প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেয়। এমনটা নয় যে, বোলার এক্ষেত্রে রান-আউট করার চেষ্টা করছিলেন রায়নাকে। আসলে তিনি বল আটকানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে বোলারের হাতে লেগে বল যখন স্টাম্প ভেঙে দেয়, নন-স্ট্রাইকার ব্যাটার রায়না ক্রিজের বাইরে ছিলেন। ফলে তাঁকে সাজঘরের পথে হাঁটা লাগাতে হয়। রায়না আগ্রাসী ইনিংসে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
শ্রেষ্ঠ ৩৩ বলে ৩৬ রান করেন। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন সলোমন মায়ের। তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৪৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। আমন খান ৯ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। অভিমন্যু মিঠুন ১২ বলে ২৭ রান করে নট-আউট থাকেন। তিনিও ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। নর্দার্ন চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন অনূরীত সিং, বিপুল শর্মা ও রজত সিং।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নর্দার্ন চ্যালেঞ্জার্স ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। সুতরাং, ৮ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ওপেন করতে নেমে শিখর ধাওয়ান ৪৩ বলে ৮৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। তিনি ৪টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন। সুতরাং, অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় ধাওয়ানের।
এছাড়া গুরকিরৎ সিং মন ৩১ ও বিপুল শর্মা অপরাজিত ৩৩ রানের যোগদান রাখেন। ম্যাচের সেরা হন ধাওয়ান।