অন্যদিন 'নমিনেশন' থাকে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে সূর্যকুমার যাদব যে ক্যাচটা নেন, তাতে ‘নমিনেশন’ রাখলে বেকারই সময় নষ্ট করা হত। ওই সময় বরং বিশ্বকাপ জয়ের জন্য উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠা ঢের ভালো বিকল্প। আর সেই বিকল্পই বেছে নিলেন ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ। কোনও নমিনেশনই রাখলেন না। কোনও সময় নষ্ট না করে সেরা ফিল্ডার হিসেবে একদম সোজাসুজি সূর্যের নাম ঘোষণা করে দিলেন। তাঁকে সেরা ফিল্ডারের মেডেল পরিয়ে দেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসআই) তথা ‘সম্মানীয় নেতা’ সচিব জয় শাহ। আর সেই মেডেল পাওয়ার পরে সূর্য বলেন, ‘জয় স্যারের থেকে এই মেডেলটা নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য দিলীপ স্যারকে ধন্যবাদ।’ তারপর বিশ্বকাপ জয়ের মেডেল এবং সেরা ফিল্ডারের পদক দেখিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। মেডেলে চুমুও খেয়ে নেন সূর্য। বাকিরা মেতে ওঠেন তুমুল উচ্ছ্বাসে।
'থ্যাঙ্ক ইউ' সূর্য, ১৯ নভেম্বরে পরিণত হল না ২৯ জুন
আর ২৯ জুন যে দৃশ্যটার সাক্ষী থাকল পুরো বিশ্ব, সেটা ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বরও দেখার আশায় বিভোর ছিলেন সকলে। কিন্তু বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে যাওয়ায় সেদিনের ভারতীয় ড্রেসিংরুমটা পুরোপুরি থমথমে হয়েছিল। আগের ১০টি ম্যাচে যেভাবে সেরা ফিল্ডারের মেডেল নিয়ে ভারতীয় খেলোয়াড়রা উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিলেন, সেটা ফাইনালের পরে দেখা যায়নি। একটা হালকা হাসি ছিল সকলের মুখে। হালকা হাততালি দিয়েছিলেন তাঁরা।
২৯ জুনও হয়ত সেটার পুনরাবৃত্তি হতে পারত, যদি না ওই ক্যাচটা ধরতেন ‘সেরা ফিল্ডার’ সূর্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ডেভিড মিলারের আয়ত্তের বাইরে বলটা রাখতে গিয়ে ফুলটস দিয়ে বসেন হার্দিক পান্ডিয়া। ঠিকভাবে টাইমিং করতে না পারলেও মিলার নিশ্চিতভাবে ভেবেছিলেন যে তিনি ছক্কা পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সূর্যের অবিশ্বাস্য ফিল্ডিংয়ে আউট হয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: Row over SKY catch: মিলারের ক্যাচ ধরার সময় বাউন্ডারি লাইনে পা ঠেকে গিয়েছিল সূর্যের? দাবি SA ফ্যানদের
SKY-র অবিশ্বাস্য ক্যাচ
মিলারের শটটা ঠিক বাউন্ডারি লাইনের ওপারে পড়ার আগে দৌড়ে এসে বলটা ধরে নেন সূর্য। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনের এত কাছে ছিলেন যে শরীরের মুভমেন্ট তাঁকে সেদিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে যাবেন বুঝতে পেরে ডানহাত দিয়ে বলটা শূন্যে ভাসিয়ে দেন। ঢুকে যান বাউন্ডারি লাইনের ভিতরে। তারপর লাফিয়ে বাউন্ডারি লাইন থেকে বেরিয়ে এসে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন। সেই অবিশ্বাস্য ক্যাচের সুবাদে ড্রেসিংরুমে ফিরে যেতে হয় মিলারকে। সেখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের সব আশা শেষ হয়ে যায়।