অবশেষে পয়া ইডেনেই শাপমুক্তি সূর্যকুমার যাদবের। একদা কেকেআরের ঘরের ছেলে হিসেবে ইডেন ছিল সূর্যকুমার যাদবের হোম গ্রাউন্ড। ইডেন কখনও তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি। তাই ইডেনেই ফর্মে ফেরার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সূর্য। বলা বাহুল্য, ইডেন আরও একবার খালি হাতে ফেরাল না টিম ইন্ডিয়ার টি-২০ ক্যাপ্টেনকে।
গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ৪ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দিতে নেমে সাকুল্যে ২৬ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। পরে মুম্বইয়ের হয়ে ঘরোয়া বিজয় হাজারে ট্রফির ৫ ম্যাচে মাঠে নেমে সাকুল্যে ৩৮ রান সংগ্রহ করেন তিনি। শেষে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে সাকুল্যে ২৮ রান করেন সূর্যকুমার।
সুতরাং, ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছিলেন তিনি। এবার রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ইনিংসে বড় রান করতে ব্যর্থ হন সূর্যকুমার যাদব। ইডেনে হরিয়ানার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামে মুম্বই। প্রথম ইনিংসে ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫ বলে ৯ রান করে আউট হন সূর্য। সুমিত কুমারের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
দাপুটে অর্ধশতরান সূর্যকুমারের
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে দাপুটে ব্যাটিং করেন টিম ইন্ডিয়ার সুপারস্টার। হরিয়ানার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৬৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। যদিও নিজের ইনিংসকে আরও বড় রূপ দিতে পারেননি সূর্য। তিনি ব্যক্তিগত ৭০ রানের মাথায় আউট হয়ে বসেন। ৮৬ বলের দাপুটে ইনিংসে তিনি ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
সূর্যকুমারের পাশাপাশি ইডেনের দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রানের ইনিংস খেলেন মুম্বই দলনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। প্রথম ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৮ বলে ৩১ রান করে আউট হন অজিঙ্কা। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৬ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন।
তৃতীয় দিনের শেষে রাহানে অপরাজিত থাকেন ব্যক্তিগত ৮৮ রানে। ১৪২ বলের ইনিংসে তিনি ১০টি চার মেরেছেন। মুম্বই তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৭৮ রান তুলেছে। প্রথম ইনিংসের ১৪ রানের লিড মিলিয়ে ম্যাচে মুম্বই এগিয়ে রয়েছে ২৯২ রানে। শিবম দুবে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪১ বলে ৩০ রান করে নট-আউট থাকেন তৃতীয় দিনে।
উল্লেখ্য, ইডেনে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৩১৫ রান। পালটা ব্যাট করতে নেমে হরিয়ানা তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ৩০১ রানে। শার্দুল ঠাকুর মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৬টি উইকেট দখল করেন।