কর্ণাটকের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচে ১০টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৫৫ বলে অপরাজিত ১১৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন শ্রেয়স আইয়ার। যদিও তার পরেও ম্যাচ হারতে হয় মুম্বইকে। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে চাপের মুখে ২০ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে মুম্বইকে ম্যাচ জেতান শ্রেয়স। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে মাত্র ১৭ রান করে আউট হন তিনি। এবার পুদুচেরির বিরুদ্ধে ফের দুর্দান্ত শতরান করেন মুম্বই দলনায়ক।
শুক্রবার আমদাবাদে বিজয় হাজারে ট্রফির সি-গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে মুম্বই ও পুদুচেরি। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। যদিও ক্যাপ্টেন শ্রেয়সের এই সিদ্ধান্তের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারেননি দুই ওপেনার। কেকআরের অংকৃষ রঘুবংশী খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। মাত্র ১ রান করে আউট হন আয়ুষ মাত্রে।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সিদ্ধেশ ল্যাড ৪৩ বলে ৩৪ রান করেন। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে উইকেটকিপার হার্দিক তামোরে ২২ বলে ১১ রান করেন। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সূর্যকুমার যাদব গোল্ডেন ডাকে মাঠ ছাড়েন। উল্লেখ্য, পঞ্জাবের বিরুদ্ধে নিজের শেষ ম্যাচেও খাতা খুলতে পারেননি সূর্যকুমার। অর্থাৎ, বিজয় হাজারে ট্রফির পরপর ২টি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন তিনি।
অধিনায়কোচিত শতরান শ্রেয়স আইয়ারের
শ্রেয়স ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ১১১ বলে। সাহায্য নেন ১৩টি চার ও ২টি ছক্কার। শেষমেশ ১৩৩ বলে ১৩৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়স। তিনি ১৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
৪৭ বলে ৪৩ রান করেন অথর্ব আঙ্কোলেকর। তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ১৩ বলে ১০ রান করেন সূর্যাংশ শেজ। তিনি ১টি চার মারেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪ বলে ১৬ রান করেন শার্দুল ঠাকুর। একসময় ৮২ রানে ৫ উইকেট হারানো মুম্বই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৯০ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
পুদুচেরির হয়ে ১০ ওভারে ৩৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন অঙ্কিত শর্মা। ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচ করে একজোড়া উইকেট নেন সাগর উদেশি। ১০ ওভারে ৫৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন গৌরব যাদব। ১০ ওভারে ৬২ রান খরচ করে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন সিদাক সিং।