সূর্যকুমার যাদব টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের শেষ ওভারে বাউন্ডারিতে ডেভিড মিলারের ক্যাচটি ঝাঁপিয়ে না ধরলে, ভারতের জেতা কঠিন হত। ওই ক্যাচ ধরার জন্য প্রয়োজন ছিল মাথা ঠান্ডা রাখা। আর সেটাই করে দেখিয়েছেন সূর্য। এই ক্যাচটি না হলে, কপালে দুঃখ ছিল ভারতের। সূর্যের এই ক্যাচই কিন্তু বদলে দিয়েছে ম্যাচের রং।
বাড়ি ফিরেও নাচ থামছে না সূর্যের
ফাইনাল ম্যাচে ব্যাট হাতে সূর্য জ্বলে উঠতে না পারলেও, একটি ক্যাচ ধরেই হিরো হয়ে যান তিনি। আর সেই হিরোর ঘরে ফেরাটাও ছিল জাঁকজমকে পরিপূর্ণ। মালা পরিয়ে, আরতি করে ঘরের ছেলেকে বরণ করে নেয় তাঁর পরিবার। সঙ্গে তো মিষ্টিমুখ ছিলই। উচ্চস্বরে বাজছিল ঢাক-ঢোল। আর সেই ছন্দে ফের পরিবারের লোকজন এবং স্ত্রী দেবিশার সঙ্গে নাচের তালে মেতে ওঠেন স্কাই। বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে যেন টিম ইন্ডিয়ার সদস্যদের নাচ থামছেই না। বাড়ি ফেরার পরেও ক্লান্তি ভুলে, পরিবারের সঙ্গে উদ্দাম নাচতে দেখা যায় সূর্যকে। আর সূর্যের বাড়ি ফেরার ভিডিয়ো হুহু করে ভাইরাল হয়েছে।
মিলারের ক্যাচ নিয়ে নিন্দুকদের সমালোচনার যোগ্য জবাব সূর্যের
তবে রোহিত শর্মারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতে চলে এলেও, সূর্যকুমার যাদবের ক্যচ নিয়ে একাংশের অভিযোগ যেন থামছেই না। সম্প্রতি একটি ভিডিয়োতে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে, সূর্যের পা বাউন্ডারি রোপে লাগেনি। একচুল হলেও সূর্যের পা বাউন্ডারি রোপের আগে ছিল। আর তাই ডেভিড মিলার আউটই ছিলেন। ওটা ছক্কা ছিল না কোনও ভাবেই। বিতর্কের কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না। তবুও ভারতের কাছে হেরে ছিটকে যাওয়া দলগুলোর কিছু সমর্থক এই গুজবকে সত্যি প্রমাণ করে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে চাইছে।
তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পরাজিত অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াও। সূর্য অবশ্য বলে দিয়েছেন, ‘যখন বলটা ভিতর দিকে ঠেলে দিই, তখন আমি জানি, আমার পা লাইনের দড়ি ছোঁয়নি। সেটা সম্বন্ধে আমি সম্পূর্ণ সচেতন ছিলাম। ওই ক্যাচটা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই।’
আরও পড়ুন: বিশ্বজয় করে এসেছে ছেলে, স্নেহের চুম্বনে ভরালেন রোহিতের মা- ভিডিয়ো
যাইহোক ভারতে ফেরার পর থেকে লম্বা সূচি ছিল সূর্যদের। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়া দিয়ে শুরু। তার পর একের পর এক অনুষ্ঠান, সংবর্ধনা সেরে সূর্যরা ফিরেছেন যে যার ঘরে। এখন পুরোটাই ‘ফ্যামিলি টাইম’। পরিবারের সঙ্গে এই সাফল্য তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করাটাও যে জরুরি।