Suryakumar Yadav, Remember the name- ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে কার্লস ব্র্যাথওয়েটের ক্ষেত্রে যে কথাটা বলা হয়েছিল, আজ সূর্যকুমার যাদবের ক্ষেত্রে বললে এতটুকু অত্যুক্তি হবে না। ২০ তম ওভারে ডেভিড মিলারের অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিলেন তিনি। অবিশ্বাস্য নয় শুধু, অবিশ্বাস্য….অবিশ্বাস্য……অবিশ্বাস্য। আর যে ক্যাচটার সুবাদে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ভারত। ১১ বছরের খরা কাটিয়ে আইসিসি ট্রফি জিতল টিম ইন্ডিয়া। ওই ক্যাচটা না হলে জসপ্রীত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং, হার্দিক পান্ডিয়াদের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স সত্ত্বেও হেরে মাঠ ছাড়তে হত রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের।
সূর্যের সেই অবিশ্বাস্য ক্যাচ
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ছয় বলে ১৬ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। স্ট্রাইকে ছিলেন মিলার। প্রথম বলটা খুব একটা আহামরি করেননি হার্দিক পান্ডিয়া। বল শট মারতে যান মিলার। ঠিকমতো ব্যাট এবং বলের সংযোগ হয়নি। তাতেও বলটা ছক্কা হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু অবিশ্বাস্য (অবিশ্বাস্য….অবিশ্বাস্য……অবিশ্বাস্য) ক্যাচ ধরেন সূর্য।
দৌড়ে এসে লং-অফের বাউন্ডারিতে বলটা ধরেন। কিন্তু তিনি বাউন্ডারির বাইরে চলে যাবেন বলে বুঝতে পেরে বলটা শূন্যে ছুড়ে দেন। তারপর বাউন্ডারির মধ্যে ঢুকে পড়েন। ফিরতি বলে ক্যাচটা ধরার জন্য লাফিয়ে বাউন্ডারির মধ্যে ঢুকে আসেন। আর সেই অবিশ্বাস্য (অবিশ্বাস্য….অবিশ্বাস্য……অবিশ্বাস্য) ক্যাচটা পূর্ণ করেন সূর্যকুমার।
ওই ক্যাচটা ম্যাচের ভাগ্য পালটে দেয়। বুমরাহ, আর্শদীপ, হার্দিকরা দুর্দান্ত বোলিং করে ভারতকে যে জায়গায় এনেছিলেন, সেখান থেকে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য যে ‘ফাইনাল পুশটা’ দরকার ছিল, সেটা এনে দেয় সূর্যের ক্যাচ। ওই ক্যাচটার ফলে ১৯.১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় সাত উইকেটে ১৬১ রান। আর জয়ের জন্য পাঁচ বলে ১৬ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার।
স্কাইয়ের ক্যাচের পরে হার্দিকের বাকি ৫টি বল
১) ১৯.২ ওভার: চার রান।
২) ১৯.৩ ওভার: এক রান (বাই)।
৩) ১৯.৪ ওভার: এক রান (লেগবাই)।
৪) ১৯.৫ ওভার: ওয়াইড।
৫) ১৯.৫ ওভার: উইকেট।
৬) ১৯.৬ ওভার: এক রান।