সূর্যকুমার যাদবের ক্যাচটা বৈধ ছিল। ক্যাচটা ধরার সময় তাঁর পা বাউন্ডারি কুশনে ঠেকে ছিল না। জানিয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ধারাভাষ্যকার শন পোলক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে সূর্যের ক্যাচ নিয়ে যখন নেটিজেনদের একাংশ হইচই শুরু করেছেন, তখন সেই ম্যাচে কমেন্ট্রির দায়িত্বে থাকা পোলক (সূর্যের ক্যাচের সময় কমেন্ট্রি করছিলেন ইয়ান স্মিথ এবং পোলকই) বলেন, ‘না, ক্যাচটা একদম ঠিক ছিল। বাউন্ডারি কুশনটা সরে গিয়েছিল। তবে সেটা ম্যাচের মধ্যেই হয়েছে। সেটার সঙ্গে সূর্যের কোনও সম্পর্ক নেই। ওর কিছু করার ছিল না। ও কুশনের উপর দাঁড়ায়নি। অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।’
এবার ‘কান্না’ থামবে?
পোলক নিজের মতামত জানিয়ে দেওয়ার পরে সূর্যের ক্যাচের বৈধতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁরা ‘কাঁদছিলেন’, তাঁদের ‘কান্না’ থামবে কিনা, সেটা সময়ই বলবে। ফাইনাল শেষ হওয়ার পরই নেটিজেনদের ওই অংশের তরফে দাবি করা হয় যে ২০ তম ওভারের প্রথম বলে যখন ডেভিড মিলারের ক্যাচটা ধরছিলেন সূর্য, তখন তাঁর পা বাউন্ডারি রোপে ঠেকে গিয়েছিল। তাই ওটা ক্যাচ হওয়ারই কথা নয়। ওটা আসলে ছক্কা হওয়ার কথা।
আর ওটা ছক্কা হলে জয়ের জন্য পাঁচ বলে আর ১০ রান দরকার থাকত দক্ষিণ আফ্রিকার। আর মিলার ক্রিজে থাকা অবস্থায় সেটা কোনও ব্যাপারই ছিল না। যদিও শেষপর্যন্ত সেটা হয়নি। কারণ সূর্যের ক্যাচটা বৈধ ছিল। তাই আউট দেওয়া হয়েছিল মিলারকে। তার ফলে ২০ তম ওভারের প্রথম বলেই মিলারকে ফিরে যেতে হয়। যা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। সেখান থেকে আর দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা অভাবনীয় কিছু করতে পারেননি। সাত রানে বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতে যায় ভারত।
ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে অমর হয়ে গেল SKY-র ক্যাচ
ওই ক্যাচের জন্য ভারতীয় দলের তরফে যে সেরা ফিল্ডারের মেডেল দেওয়া হয়, সেটাও পেয়েছেন সূর্য। ওই ক্যাচটা এতটাই ভালো ছিল যে শনিবার কাউকে নমিশনেশনও দেওয়া হয়নি। সরাসরি সূর্যের গলায় মেডেল পরিয়ে দেওয়া হয়। নাহলে সাধারণত দু'তিনজনের নাম ঘোষণা করা হয়। সেখান থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে থাকে। কিন্তু চাপের মুখে সূর্য যে ক্যাচটা নিয়েছেন, তাতে কোনও নমিনেশনের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। যে ক্যাচটা ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে চিরকালের জন্য ঠাঁই পেয়ে গিয়েছে।
সার্বিকভাবে বিশ্বকাপে ভারতের ক্যাচ ধরার রেকর্ড ভালো নয়
সূর্য ওই অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিলেও সার্বিকভাবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ক্যাচ ধরার হার ভালো ছিল না। মাত্র ৮০.৪ শতাংশ ক্যাচ ধরেছে টিম ইন্ডিয়া। সুপার এইটের আটটি দলের মধ্যে সপ্তম স্থানে আছে। ভারতের পরে ছিল শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া।