এক ওভারে তিনটি ছক্কা হজম করেছিলেন। পালটা নিজে এক ওভারে চারটি ছক্কা এবং একটি চার মারলেন হার্দিক পান্ডিয়া। বোলিংয়ে তিন ওভারে ৪৪ রান হজম করলেও ব্যাট হাতে ৩০ বলে ৬৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন ভারতীয় তারকা তথা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক। মারেন চারটি চার। হাঁকান সাতটি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩০। আর মূলত সেই ইনিংসের সুবাদেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ২২১ রান তাড়া করে জিতে গেল বরোদা। যা সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের তালিকায় দু'নম্বরে উঠে এল।
হার্দিককে ৩ ছক্কা মারেন বিজয় শংকর
বুধবার ইন্দোরে সেই ম্যাচটার ভাগ্য পেন্ডুলামের মতো ঘুরেছে। প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ২২১ রান তোলে তামিলনাড়ু। ৩২ বলে ৫৭ রান করেন নারায়ণ জগদীশন। ২৫ বলে ৩৯ রান করেন শাহরুখ খান। ২২ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন বিজয় শংকর। মারেন চারটি ছক্কা। আর সেই তিনটি ছক্কা আসে হার্দিকের একটি ওভারেই। সেই ওভারের সৌজন্যে তিন ওভারে ৪৪ রান খরচ করে ফেলেন হার্দিক। বেধড়ক মার খান অতীত শেঠও। তিন ওভারে ৫০ রান দেন।
৪৪ বলে ১০১ রান চাই- তখন নামেন হার্দিক
তবে হার্দিক এবং অতীত দু'জনেই বাজে বোলিং পারফরম্যান্সের খামতি মিটিয়ে দেন ব্যাটিংয়ে। হার্দিক যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন বরোদার স্কোর ছিল ১২.৪ ওভারে চার উইকেটে ১২১ রান। অর্থাৎ জয়ের জন্য ৪৪ বলে ১০১ রান দরকার ছিল বরোদার। সেখান থেকে ৩০ বলে ৬৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন হার্দিক। বুঝিয়ে দেন যে তিনি কেন বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার।
বিশেষত ১৮ তম ওভারে আইপিএলে সদ্য ২.২ কোটি টাকা দর পাওয়া গুরজাপন্ত সিংকে চারটি চক্কা মারেন। প্রথম তিনটি বলে তিনটি ছক্কা হাঁকান। পরের বলটি নো হয়। চতুর্থ বলে ফের ছক্কা হাঁকান। ষষ্ঠ (পঞ্চম বৈধ বল) বলে চার মারেন। শেষ বলে এক রান নেন। সবমিলিয়ে ওই ওভারে ৩০ রান ওঠে। তাঁর সৌজন্যেই জয়ের জন্য শেষ ওভারে বরোদার মাত্র ১০ রান দরকার ছিল।
বিজয়ের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান-আউট হার্দিক
কিন্তু ২০ তম ওভারের প্রথম বলে শংকরের দুর্দান্ত ডিরেক্ট থ্রোয়ে আউট হয়ে যান হার্দিক। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় রান-আউট হয়ে যান। তারপর প্রবল চাপে পড়ে যায় বরোদা। পাঁচ বলে নয় রান বাকি ছিল। হাতে ছিল তিন উইকেট। যে সমীকরণটা এক বলে চার বলে দাঁড়ায়। অর্থাৎ জয়ের জন্য শেষ বলে চার রান দরকার ছিল বরোদার। সেই বলে চার মেরে বরোদাকে জিতিয়ে দেন অতীত। তিন বলে সাত রানে অপরাজিত থাকেন।
ওই ম্যাচে খেলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বরুণ চক্রবর্তী। তিনি চার ওভারে ৪৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। তবে শুধু তিনি নন, সাই কিশোরকে ছাড়া তামিলনাড়ুর সব বোলারই মার খান। চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে দু'উইকেট নেন কিশোর।