ভালো কথায় কাজ হয়নি। তাই কার্যত ধমক দিয়েই মার্নাস ল্যাবুশানকে ভাগিয়ে দেন আম্পায়াররা। গ্রেড ক্রিকেটে অজি তারকার আচরণ আম্পায়ারদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রাথমিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। ফলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বড়সড় শাস্তি দিতে পারে মার্নাসকে। এমনকি নির্বাসিতও করা হতে পারে তাঁকে। তাই যদি হয়, তবে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে অজি তারকাকে।
টি-২০ ম্যাক্স টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে রেডল্যান্ডস বনাম ভ্যালিস-এর ম্যাচে ঘটে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা। অ্যালান বর্ডার ফিল্ডে প্রথমে ব্যাট করে রেডফিল্ড ১৯.২ ওভারে ১০৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ল্যাবুশান ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। উইকেটকিপার জিমি দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩১ রান করেন।
ভ্যালিস পালটা ব্যাট করতে নামলে আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন ল্যাবুশান। দ্বিতীয় ইনিংসের সপ্তম ওভারে ভ্যালিস-এর ব্যাটার হিউ ওয়েবজেনের বিরুদ্ধে একটি ক্যাচের আবেদন জানায় রেডল্যান্ডস। লেই ড্রেনান যথাযথ ক্যাচ ধরেছেন বলে দাবি করেন ল্যাবুশানরা। তবে আম্পারের দাবি ছিল বল মাঠে ড্রপ করে ফিল্ডারের হাতে গিয়েছে। তাই ব্যাটারকে নট-আউট ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
ফিল্ড আম্পায়ারদের এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি ল্যাবুশান। তিনি তর্ক জুড়ে দেন আম্পায়ারদের সঙ্গে। সেই ঘটনার পরে একটি বল হয়ে গেলেও ল্যাবুশানের রাগ কমেনি। তিনি সমানে কথা বলতে থাকেন। অম্পায়াররা বাধ্য হয়েই ল্যাবুশানকে দূরে সরে যেতে বলেন।
আরও পড়ুন:- CFL 2024: প্রবল বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ মাঠ, হাফ-টাইমেই স্থগিত মহামেডান-ভবানীপুর ম্যাচ
পরে দুই আম্পায়ারকে মাঠের মাঝে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে দেখা যায়। যা দেখে ধারাভাষ্যকাররা দাবি করেন যে, নিশ্চিতভাবেই শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে পড়তে পারেন ল্যাবুশান। পরে মার্নাসের বিরুদ্ধে লেভেল-টু পর্যায়ের আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। চলতি সপ্তাহেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হেয়ারিংয়ের মুখে পড়তে হতে পারে মার্নাসকে। অজি বোর্ড ল্যাবুশানকে নির্বাসিত করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ল্যাবুশান শেষমেশ নির্বাসিত হলে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েকটি ম্যাচে তাঁর মাঠে নামার উপরে প্রতিবন্ধকতা জারি করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ল্যাবুশানের শেফিল্ড শিল্ডে মাঠে নামা নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
টি-২০ ম্যাক্সের সেমিফাইনালে রেডল্যান্ডসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দেয় ভ্যালিস। তারা ১৫.৫ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১০৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।