শুভব্রত মুখার্জি: ক্রিকেটকে আমেরিকানদের মাঝে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি আমেরিকাতে ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতে কোনও খামতি রাখছে না। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে আমেরিকাতে খেলা হচ্ছে মূলত তিনটি জায়গায়। যার মধ্যে রয়েছে নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডা এবং ডালাস। এর মধ্যে একেবারে নয়া স্টেডিয়াম নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামে ড্রপ ইন পিচ ব্যবহার করছে আইসিসি। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডের এক সংস্থা এই উইকেটগুলো তৈরি করেছে। সাধারণত ড্রপ ইন পিচ সেটেল হতে ১২ মাস সময় লাগে। যদিও এই পিচ সেটেল হতে দেওয়া হয়েছে মাত্র পাঁচ মাস সময়। আর তাতেই শুরু হয়েছে সমস্যা। পিচ নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসছে। এমন আবহে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ সহ প্লেয়িং কন্ডিশন নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার এনরিখ ক্লাসেন। তাঁর মতে, তিনি মনে করেন না বিক্রির (আমেরিকাতে ক্রিকেট) জন্য নিউইয়র্কের এই স্টেডিয়াম পিচের কারণে সেরা প্রোডাক্ট হতে পারে!
আরও পড়ুন: রিজওয়ানের মন্থর অর্ধশতরান, তবে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সুপার আটের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান
এই মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাত্র চার রানে জয়ের পরে প্রোটিয়া তারকা ক্লাসেন ক্ষোভ উগরে বলেছেন, ‘সত্যি বলতে গোটা বিশ্বের সামনে যদি এটাকে (নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে) তুলে ধরা হয় এবং বিক্রি করা হয় তাহলে আমি বলব এটা বিক্রি করার জন্য একেবারেই ভালো প্রোডাক্ট নয়। তবে ক্রিকেটীয় দিক থেকে বলতে পারি, এতে খুব কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে প্রত্যেকেই পড়েছি। খুব কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীতা হচ্ছে। এর ফলে সমস্ত দলগুলো এবং বিশেষ করে শীর্ষস্থানীয় দলগুলোর সঙ্গে ছোট দলগুলোর ফারাক অনেকটাই মিটে গিয়েছে। আমি মনে করি, ব্যাটাররা মনে-প্রাণে চাইছে এই ধরনের উইকেট থেকে যত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাওয়া যায়। তবে হ্যাঁ, বোলাররা আবার এই ধরনের উইকেটেই বেশি খেলতে চাইবে। আমরা অবশ্য আমাদের কাজটা ঠিক করে করেছি। তিনটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই আমরা জয় পেয়েছি। সত্যি বলতে, আমরা যতটা কঠিন হবে ভেবেছিলাম, তার থেকেও বেশি কঠিন হয়েছিল ম্যাচ।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি ডালাসে খেলেছি। নর্থ ক্যারোলিনাতে খেলেছি।ওখানে তাও পরিবেশটা ক্রিকেট খেলার অনেকটাই সহায়ক। উইকেটগুলো খেলার জন্য অনেকটাই ভালো। সেই দিক থেকে এই সব অঞ্চলে ক্রিকেট খেলাকে বিক্রি করা অনেকটা সহজ। নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। উইকেটটা যত দিন যাবে, তত ভালো হবে। এখানে এখন ২-৩ দিন অন্তর অন্তর খেলা হচ্ছে। ফলে উইকেটের উপর চাপ পড়ছে। উইকেটের যত বয়স হবে, তত এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি খেলার অনুকূল হবে। আমার মনে হয়, সেই সময়ে এখানে ক্রিকেট খেলাটা দর্শকদের জন্য উপভোগ্য হবে। এখনও পর্যন্ত ১৮টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। যেখানে একটিমাত্র ম্যাচে ২০০ রান হয়েছে। ক্যারিবিয়ানে আমি মনে করি ১৬০-১৭০ রান খুব ভালো রান। বোলিং ভালো করতে পারলে ওখানে এই রান করেই ম্যাচ জেতা যাবে।’