শুভব্রত মুখার্জি: ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বলা যায় কার্যত অন্ধকার নেমে এসেছিল ভারতীয় দলের তারকা কিপার ব্যাটার ঋষভ পন্তের জীবনে। ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁকে লড়াই করতে নিজের জীবন বাঁচানোর। তখন আদৌও তিনি মাঠে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে ছিল প্রশ্নচিহ্ন। আরও বড় প্রশ্নচিহ্ন পড়ে যায় যে তিনি ফিরলে কবে মাঠে আদৌও ফিরবেন তা নিয়ে।
আরও পড়ুন… তাহলে কি মাদ্রিদের বদলে মিলানের পথে কিলিয়ান এমবাপ্পে! কী বললেন PSG-র প্রাক্তন তারকা?
কার্যত মিরাকেল ঘটিয়ে এই গাড়ি দুর্ঘটনার ১৫ মাসের মাথায় সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলের মধ্যে দিয়ে ফের ২২ গজে ফিরেছেন ঋষভ পন্ত। এই বছর দিল্লি ক্যাপিটালস দলকে নেতৃত্ব ও দিয়েছেন। ব্যাট হাতে বেশ ভালো পারফরম্যান্স করেন। আর তা করেই তিনি আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা করে নেন। এই গোটা ঘটনার প্রায় কাছ থেকে সাক্ষী থেকেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং। ভারতীয় দলে পন্ত জায়গা পাওয়ার পরে তাঁর কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা জানিয়েছেন রিকি পন্টিং।
আরও পড়ুন… T20 WC 2024-এর জন্য নিউইয়র্কে অনুশীলন শুরু করল টিম ইন্ডিয়া, সামনে এল রোহিতদের নতুন প্র্যাকটিস কিট
আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পন্টিং বলেছেন, ‘পন্তকে যখন ভারতীয় টি-২০ বিশ্বকাপ দলে নির্বাচন করা হল তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আমি বিষয়টি নিয়ে কি মনে করি? আমি জানিয়েছিলাম ভারতীয় বিশ্বকাপ দলের অন্যতম সেরা নির্বাচন পন্ত। আমি নিশ্চিত ছিলাম ওঁকে একেবারে প্রথম দিকেই দলে নির্বাচন করেছে নির্বাচকরা। ওঁকে ফের মাঠে ফিরে এসে ক্রিকেটটা খেলতে দেখে আমি খুব খুশি। (দিল্লি ক্যাপিটালসে) ওঁর সঙ্গে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত আমি খুব উপভোগ করেছি। ওঁর কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। দিল্লিতে এই বছরও অধিনায়ক ছিল আর আমি কোচ। ফলে আমরা কাছাকাছি থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।’
আরও পড়ুন… T20 WC 2024: ও যেভাবে প্র্যাকটিস করে! বিরাট কোহলিকে নিয়ে মুগ্ধতা কাটছে না উইল জ্যাকসের
এই বছর আইপিএলে ব্যাট হাতেও ভালো ফর্মে ছিলেন পন্ত। তিনি ৪৪৬ রান করেছেন। গড় ৪০.৫৪। স্ট্রাইক রেট ১৫৫.৪০। পন্টিং আরও যোগ করে বলেন, ‘পন্তের একটা দুরন্ত কামব্যাক ঘটেছে। এত ভালো কামব্যাক যা আমাদের প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপে ও ভারতের পারফরম্যান্স ক্ষেত্রে ওঁর পারফরম্যান্সের একটা ভালো প্রভাব থাকবে। ওঁর ব্যাটিংয়ের ক্ষমতা নিয়ে কারোর কোনও দিন কোন সন্দেহ ছিল না। ব্যাট হাতে ও একজন অত্যন্ত ডায়নামিক ক্রিকেটার। গতবার আইপিএলে ও আমি ওঁর সঙ্গে অনেকটা সম। কাটিয়েছি। দেখেছি খেলাটা নিয়ে ও কত গভীরভাবে ভাবে। ওই সময়টা ছিল ওঁর গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটার ৩-৪ মাস বাদে। আমার একটা ভয় ছিল। ভয় ছিল যে ও হয়তো আর কোনও দিন ক্রিকেট মাঠে ফিরবে না। ওই সময়ে ও হাঁটতে পারছিল না। আমি উপলব্ধি করতে পারি শারীরিক এবং মানসিকভাবে ও কতটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। আমি ওই সময়ে ওঁকে প্রশ্ন করেছিলাম আগামী মরশুম নিয়ে কী ভাবছ? আমাকে ও বলেছিল চিন্তা করোনা। আমি ফিরে আসব।আমি আবার খেলব। ওঁর আত্মবিশ্বাস ছিল দেখার মতন।’