ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম আফগানিস্তানের মধ্যে ২০২৪ সালের আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চল্লিশ নম্বর ম্যাচটি খেলা হয়েছিল। ম্যাচটি সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আফগানিস্তানকে ১০৪ রানে উড়িয়ে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে তাদের এই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন নিকোলাস পুরান ও জনসন চার্লস। পাওয়ারপ্লেতে ঝড় তোলেন তাঁরা। এরপরে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ২১৮ রান। এর জবাবে ১১৪ রানেই শেষ হয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন নিকোলাস পুরান। মাত্র ২ রানের জন্য এদিন শতরান হাতছাড়া করেন নিকোলাস পুরান।
আরও পড়ুন… NZ ও বিশ্ব ক্রিকেটে সে একজন মহান ক্রিকেটার- বোল্টের শেষ T20 WC ম্যাচের পরে আবেগে ভাসলেন উইলিয়ামসন
রানের দিক থেকে রেকর্ড গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ-
সেন্ট লুসিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এর শেষ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল তাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে শুধুমাত্র সর্বোচ্চ স্কোরই তৈরি করেনি, এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোরও করল। নিকোলাস পুরানের ঝোড়ো ইনিংসের ভিত্তিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আফগানিস্তানের সামনে ২১৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো একটি দল ২১০ রান পেরিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে মোট দুবার ২০১ রান হয়েছিল।
কেমন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস-
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান করে। ক্যারিবিয়ান দলের হয়ে নিকোলাস পুরান ৫৩ বলে ৬ চার ও ৮ ছক্কায় ৯৮ রান এবং জনসন চার্লস ২৭ বলে ৪৩ রান করেন। অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল ২৬ রান করেন এবং শাই হোপের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। আফগানিস্তানের হয়ে গুলবাদিন নায়েব ২টি এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও নবীন উল হক ১টি করে উইকেট শিকার করেন। উমরজাই ২ ওভারে ৪১ রান খরচ করেন। এক ওভারে ৩৬ রানও দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন… আফগানিস্তানের এই বোলার এক ওভারে দিলেন ৩৬ রান! যুবরাজ সিংকে মনে করালেন নিকোলাস পুরান
কেমন ছিল আফগানিস্তানের ইনিংস
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথমেই গুরাবজের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান। এরপরে পাওয়ারপ্লেতে খুব একটা রান না করায় চাপ আরও বাড়তে থাকে। এরপরে একটা সময়ে ৯.২ ওভারে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। শেষ পর্যন্ত ১৬.২ ওভারে ১১৪ রানেই শেষ হয়ে য়ায় আফগানিস্তানের ইনিংস। এরফলে ১০৪ রানে ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিনের জয়ের ফলে গ্রুপ পর্যায়ে না হেরে সুপার এইটে উঠল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।