টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এ পাকিস্তানের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরে, পাক দলের অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই সময়ে অনেক ক্রিকেট পন্ডিতও তাঁকে আবার অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর বাবর আজম এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা ভাবছেন না, যদি করেন তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে জানাবেন। তিনি আরও বলেন, তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবি যা চাইবে তিনি সেটাই করবেন।
আরও পড়ুন… T20 WC 2024: শেষ বেলায় জ্বলে উঠলেন হাসারাঙ্গারা! ডাচদের ৮৩ রানে হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সান্ত্বনার জয়
কী বললেন বাবর আজম?
আপনার জেনে নেওয়া দরকার যে, গত বছরের শেষের দিকে বাবর আজম তিন ফর্ম্যাটেরই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর শাহিন শাহ আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল। তবে তার নেতৃত্বে দল নিউজিল্যান্ডে বাজেভাবে হেরে যায়, এরপর পিসিবি আবারও বাবর আজমকে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের অধিনায়ক করে। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের পর বাবর আজম বলেছেন, ‘আমি যখন অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলাম (আগে) তখন আমার মনে হয়েছিল যে আমার আর অধিনায়ক থাকা উচিত নয় এবং আমি নিজেই এটি ঘোষণা করেছিলাম। পিসিবি যখন এটি ফিরিয়ে নিয়েছিল, তখন এটি তাদের সিদ্ধান্ত ছিল। এখন আমরা ফিরে গিয়ে আলোচনা করব। আমি আবার অধিনায়কত্ব ছাড়ব কিনা সে বিষয়ে আমি এখন কোনও চিন্তা করিনি এবং সিদ্ধান্ত নিইনি। যদি এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেব মনে করব, তখন সকলকে জানিয়ে এটা করব।
আরও পড়ুন… BAN vs NEP: ২৪ বলের মধ্যে ২১টা ডট, সর্বনিম্ন টোটাল ডিফেন্ড, বীর বিক্রমে সুপার এইটে টাইগাররা
এরপরে তিনি বলেছেন যে, আগের বার তিনি যখন পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন তখন তিনি এটা মনে করেছিলেন। তবে পরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বলায় আবারও দলের দায়িত্ব নেন তিনি। তাই এবারে নেতৃত্ব ছাড়বেন কিনা সেটা পিসিবির উপরেই ছাড়লেন বাবর আজম। তাঁর মতে আগে পাকিস্তানে ফিরে যাই, তারপর যদি পিসিবি তাঁকে নেতৃত্ব ছাড়তে বলে তাহলে তনি সেটা করবেন।
আরও পড়ুন… বিরাট বা রোহিত নন হরভজনের মতে T20 WC 2024-এ এই তারকাই হলেন ভারতের সবচেয়ে বড় ম্য়াচ উইনার
নিজেদের কারণেই ছিটকে গেল পাকিস্তান-
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই আসরটি পাকিস্তানের জন্য হতাশাজনক ছিল। কারণ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ছোট দলের কাছে হেরে যেতে হয়েছিল তাদের। এরপর একটি ক্লোজ ম্যাচ হারায় টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে দেয় ভারত। এরপর পাকিস্তানের চোখ ছিল ইউএসএ বনাম আয়ারল্যান্ড ম্যাচের দিকে, যদি সে ম্যাচে ইউএসএ হেরে যেত তাহলে পাকিস্তানের সুপার-৮-এ যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। কিন্তু এবার তারা প্রকৃতির সমর্থন পায়নি এবং USA বনাম আয়ারল্যান্ড ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়ে যায় এবং পাকিস্তান তখনই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়।