টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম সংস্করণ এটি। এবার আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ যৌথভাবে আয়োজক। ১ জুন আমেরিকা এবং কানাডার ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু। ফাইনাল ২৯ জুন। এবারের বিশ্বকাপে একেবারে চারটি দল বেড়ে গিয়েছে। দলের সংখ্যা বাড়ায় নিয়মও বদলেছে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নতুন নিয়মগুলি কী জানেন? এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে ১৬টি দল। কিন্তু এবার তা একলাফে বেড়ে হয়েছে ২০। অর্থাৎ চারটি অতিরিক্ত দল আছে এবারের বিশ্বকাপে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক আমেরিকা, কানাডা এবং উগান্ডার। এছাড়াও আমেরিকা, কানাডা, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড, ওমান, পাপুয়া নিউগিনি, উগান্ডা, নেদারল্যান্ডস এবং নেপাল- ন'টি অ্যাসোসিয়েট দেশ এবারের মেগা টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। ২০টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রতিটি গ্রুপে পাঁচটি করে দল। পয়েন্টের বিচারে প্রতিটি গ্রুপ থেকে সুপার-এইটের টিকিট রাখা প্রথম দু'টি দলের জন্য। এবার সুপার এইটের ক্ষেত্রেও আটটি দল বিভক্ত দু'টি গ্রুপে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে প্রথম দু'টি দলের জায়গা রাখা সেমিফাইনালে। তারপর ফাইনাল ম্যাচ। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও ম্যাচের ক্ষেত্রেই যদি সেটি ড্র হয়ে যায় বা অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়, তবে সুপার ওভার হওয়ার কথা। তাতেও নিষ্পত্তি না হলে আর একটি সুপার ওভার খেলা হওয়ার কথা। এদিকে গ্রুপ পর্ব বা সুপার এইটের কোনও ম্যাচ আবহাওয়ার কারণে ভেস্তে গেলে তবে বিজয়ী ঠিক করার জন্য প্রতিটি দলকে অন্তত পাঁচ ওভারের ম্যাচ হওয়ার কথা। নক-আউট ম্যাচের ক্ষেত্রে দুই দলকেই অন্তত ১০ ওভার করে হওয়ার কথা। সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের ক্ষেত্রে বৃষ্টি হলে অতিরিক্ত ১৯০ মিনিট অপেক্ষা করার নিয়ম আছে। তার মধ্যে ম্যাচ শুরু করা গেলে পুরো ২০ ওভারই খেলার নিয়ম আছে। প্রথম সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ডে থাকলেও, দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নেই। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম থাকছে না- এই নিয়ম অনুসারে টসের সময়ে প্লেয়িং ইলেভেন ঘোষণা করার ক্ষেত্রে দলের অধিনায়ককে আরও পাঁচ জন খেলোয়াড়ের নাম দিতে হয়। যাঁদের তিনি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তার পর ম্যাচ চলাকালীন যে কোনও দলের অধিনায়ক প্লেয়িং ইলেভেন থেকে একজন খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের অপশনের জন্য দেওয়া নাম থেকে একজন খেলোয়াড়কে ডাকতে পারেন। আইপিএল ২০২৪-এ সমস্ত দল এই নিয়মের সুবিধা নিয়েছে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। নো বল এবং ওয়াইডের জন্য মিলবে না ডিআরএস- আইপিএলে খেলোয়াড়রা ম্যাচ চলাকালীন ওয়াইড বল এবং নো বলের জন্য ডিআরএস নেওয়ার সুযোগ পেতেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তা হবে না। সেখানে খেলোয়াড়রা ওয়াইড এবং নো বলের জন্য ডিআরএস নিতে পারবেন না।
T20 বিশ্বকাপের সাতকাহন
প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কবে হয়েছিল?
২০০৭ সালে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল।
ভারত কতবার জিতেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ?
ভারত শুধু ২০০৭ সালে জিতেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
সবচেয়ে বেশিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কোন দল জিতেছে?
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড, উভয় দলই দু'বার করে জিতেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
ভারতে কতবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে?
২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র বোল-আউট কবে হয়েছিল?
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বোল-আউট হয়েছিল ২০০৭ সালে। ভারত জিতেছিল সেটি।
এখনও পর্যন্ত সবকটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কে খেলেছেন?
শাকিব আল হাসান ও রোহিত শর্মা এখনও পর্যন্ত সবগুলি বিশ্বকাপ খেলেছেন।