গত টি-২০ বিশ্বকাপে নিউ ইয়র্ক স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডে বল কার্যত গড়াচ্ছিল না। তবু আইসিসি মহা খুশি আউটফিল্ড নিয়ে। নিউ ইয়র্কের পিচে টি-২০ ম্যাচ খেলা হচ্ছিল টেস্টের গতিতে। কোনও রকমে ১০০ রানের গণ্ডি টপকানোই মহা মুশকিল হয়ে দেখা দিচ্ছিল। তা সত্ত্বেও আইসিসির বিচারে বেশিরভাগ ম্যাচের পিচ ছিল সন্তোষজনক। শুধু এই মাঠের ২টি ম্যাচের পিচকে মনে ধরেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার।
সব মিলিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের ৩টি ম্যাচের বাইশগজকে অসন্তোষজনক মনে হয়েছে আইসিসির। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে শিকার হতে হয়েছে পিচের গতিপ্রকৃতির।
আইসিসির তরফে টি-২০ বিশ্বকাপের পিচ ও আউটফিল্ডের যে রেটিং প্রকাশ করা হয়, তাতে নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২টি ম্যাচের পিচকে অসন্তোষজনক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত বনাম আয়ারল্যান্ড ম্যাচের বাইশগজ ভালো ছিল না বলে দাবি আইসিসির। যদিও ভারত-পাক মহারণের বাইশগজকে সন্তোষজনক আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
গ্রুপ লিগের এই ২টি ম্যাচ ছাড়া ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামের যে পিচে আফগানিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলা হয়, তা আইসিসির বিচারে অসন্তোষজনক আখ্যা পেয়েছে। ব্রিজটাউনের ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনালের পিচকে খুব ভালো তকমা দেওয়া হয়েছে। পিচের মতো আউটফিল্ডও খুব ভালো বলে বিবেচিত হয়েছে।
যে তিনটি ম্যাচের পিচ অসন্তোষজনক বলে বিবেচিত হয়, সেগুলির ফলাফল
১. শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা- নিউ ইয়র্কে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তারা ১৯.১ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। এনরিখ নরকিয়া ৪ ওভারে ৭ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬.২ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৮০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।
২. ভারত বনাম আয়ারল্যান্ড- নিউ ইয়র্কে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আয়ারল্যান্ড। তারা ১৬ ওভারে মাত্র ৯৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত ১২.২ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৯৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।
৩. আফগানিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনাল- ত্রিনিদাদে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তারা ১১.৫ ওভারে মাত্র ৫৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮.৫ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৬০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।