আইপিএলের মতো মোটেও রান হবে না নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করার আগেই ভক্তদের জন্য টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মা বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা সেট করে দিয়েছেন। এই নাসাউতেই মেন ইন ব্লু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের তিনটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলবে।
আইপিএলের মতো রান হবে না নিউইয়র্কে
বুধবার আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিত দাবি করেছেন যে, আইপিএলের উচ্চ-স্কোরিং পিচগুলির মতো এটি নয়। পুরো বিপরীত মেরুর পিচ। এই ধরনের পিচ ব্যাটারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: পিচের কথা মাথায় রেখে বিশেষ বাউন্সার ট্রেনিং করলেন পন্ত
রোহিত পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘অবশ্যই এই পিচ দেখে এমন মনে হচ্ছে না যে, এখানে সহজে স্কোর করা যাবে। তাই আমাদের এটি সম্পর্কে একটু সচেতন থাকতে হবে এবং দেখতে হবে যে, আমরা কী সেরা স্কোর এখানে করতে পারি। ড্রেসিংরুমের অভিজ্ঞতাকে এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে।’
টিম ইন্ডিয়ার লক্ষ্য
একই ভেন্যুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত তাদের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। যে ম্যাচটি তারা ৬০ রানে জিতেছিল। সেই ম্যাচেই এই পিচে ব্যাটারদের সমস্যা টেপ পাওয়া গিয়েছিল। রোহিত এই পিচে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ‘আমরা সবাই আইপিএলে খেলেছি, যেখানে প্রচুর রান হয়েছে। তাই সেই ভারসাম্য থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কী প্রয়োজন, সেটা আগে বুঝতে হবে। এখানে অবশ্যই আইপিএল ধরনের স্কোর হবে না, তাই আমরা এটি সম্পর্কে খুব সচেতন। এবং আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পিচের মূল্যায়ণ করতে হবে এবং তার পরে নিজেদের খেলাটি খেলতে হবে।’
আমরা পড়ুন: ও এমএস ধোনি নয় যে, ওকে নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনতে হবে- বাবরকে নিয়ে প্রকাশ্যে লড়াই দুই পাক ক্রিকেটারের
দল গঠনে কীসে জোর
ভারত অধিনায়ক সঠিক দল গঠন করার কথাও বলেছেন। বিশেষত সিমার এবং স্পিনারদের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়ার গুরুত্বও তুলে ধরেছেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রতিফলন করে, রোহিত এই পিচে স্পিনের কার্যকারিতাও উল্লেখ করেছেন। ভারত অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমরা যখন বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছিলাম, তখন তিন জন স্পিনারই দুই ওভার করে বল করেছিল। ওদের খেলা সহজ ছিল না। এবং দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে স্পিনাররাও উইকেট নিয়েছিল। কেউ কন্ডিশন সম্পর্কে কিছুই জানে না।’
২০০৭ সালে যে বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণ হয়েছিল, সে বারই ভারত মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তার পরে ১৭ বছর কেটে গিয়েছে। হয়ে গিয়েছে আরও সাতটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে আর ট্রফি জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। এক বার ফাইনালে ওঠা ছাড়া বলার মতো সাফল্য নেই। এই বছর সম্ভবত রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা শেষ টি২০ বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন। এবার কি অধরা লক্ষ্য পূরণ হবে ভারতের?