শুভব্রত মুখার্জি: আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে খেলতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের প্রথম ব্যাচ ইতিমধ্যেই আমেরিকা পৌঁছে গিয়েছে। আর কয়েক দিনের মধ্যেই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে যাবে দ্বিতীয় ব্যাচও। ১ জুন ভারত তাদের প্রথম ওয়ার্ম আপ ম্যাচও খেলবে। তাদের প্রথম ওয়ার্ম আপ ম্যাচে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ দল। ২০১৩ সালের পর থেকে দীর্ঘ ১১ বছর কোনও আইসিসি ট্রফি জেতেনি ভারতীয় দল। সেই খরা কাটাতে মরিয়া তারা। গত বছর ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ফাইনালে উঠলেও, তারা শেষ পর্যন্ত হেরে যায়।এবারও রোহিত শর্মার নেতৃত্বে শেষ ধাপ পের হতে মরিয়া ভারতীয় দল। আর এমন আবহেই নিজের 'ক্যাপ্টেন্সি' মন্ত্রের রহস্য ফাঁস করলেন ভারতীয় ক্রিকেটের হিটম্যান রোহিত শর্মা।
আরও পড়ুন: ভারত-পাক ম্যাচে জঙ্গি হামলার হুমকি, বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
কয়েক দিন আগেই আইপিএলের অভিযান শেষ হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের। এই বছরে ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়কত্বের দায়িত্বে ছিলেন না রোহিত। মূলত ব্যাটার হিসেবেই দলের হয়ে খেলেছেন। তবে ব্যাট হাতে তাঁর পারফরম্যান্স একেবারেই আহামরি নয়। মুম্বইয়ের শেষ গ্রুপ ম্যাচে যদিও ৬৮ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি, এমন আবহেই আসন্ন বিশ্বকাপে দল এবং দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বেশ সোজাসাপ্টা উত্তর দিলেন তিনি। নিজের বার্তার স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন, দলের প্রতিটি সদস্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এবং দলগত সংহতিতেই জোর দিয়েছেন তিনি। দলে প্রত্যেক ক্রিকেটারের কী রোল, তাঁর থেকে দল কী আশা রাখছে, এই বিষয়ে যাতে সম্পূর্ণ ভাবে স্বচ্ছতা থাকে, তাতে বেশি জোর দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলাটা দলে একটা পজিটিভ পরিবেশ তৈরি করে। যেখানে প্রতিটি ক্রিকেটার উপলব্ধি করেন যে, তাঁকে তাঁর যোগ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা ভালো পারফরম্যান্স করতে অনুপ্রাণিত হন।
আরও পড়ুন: দ্রাবিড়ের পর রোহিতদের কোচ হিসেবে গম্ভীরকেই চূড়ান্ত করতে চলেছে BCCI- রিপোর্ট
টি-২০ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ব্রডকাস্টার স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোহিত বলেছেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে প্রধান চ্যালেঞ্জ ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতার ক্রিকেটারদের সামলানো, তাদেরকে আগলে রাখা। প্রত্যেকেরই চিন্তাভাবনা আলাদা। তাদের চাহিদাও আলাদা। অধিনায়ক হিসেবে সবই আমাকে গ্রহণ করতে হয়। পাশাপাশি সেই অনুযায়ী কাজ করতে হয়। অধিনায়ক হওয়ার পরে আমি যেটা শিখেছি, তা হল প্রত্যেকটা ক্রিকেটারকে সমান নজরে দেখতে হবে। প্রত্যেককে সমান রকম গুরুত্ব দিতে হবে দলে। প্রত্যেককে এটা বোঝাতে হবে যে, তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যখন কেউ কোনও সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসে তখন আমাকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হয় তাঁর অভিযোগ। তাদেরকে সমস্যার সেরা সমাধানটা দিতে হয়। পাশাপাশি আমি এটাও বিশ্বাস করি, শুধুমাত্র অধিনায়ক হিসেবে নয় আমাকে ক্রিকেটার হিসেবেও প্রস্তুতি সারতে হয়। অধিনায়কত্ব নিয়ে আমার ভাবনাটা একটু অন্য রকম। যেখানে আমি বিশ্বাস করি, ডাটাবেস অ্যানালিসিসে। নতুন ট্রেন্ডকে আমি বোঝার চেষ্টা করি। ম্যাচে যে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, তার জন্য প্রস্তুত হতে অনেকটা সময় আমি মিটিং রুমে ব্যয় করি। এটা আমি করি, ক্রিকেটারদের জন্য না, বরং নিজের জন্য। কারণ তাতে আমি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে পারি।’
উল্লেখ্য আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ৫ জুন।প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। ৯ জুন নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রয়েছে হাইভোল্টেজ ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ।