শুভব্রত মুখার্জি: বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। আর সেই লক্ষ্যেই তারা এবার টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। যেখানে ডালাস, ফ্লোরিডা এবং নিউ ইয়র্কে বসেছিল টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে স্টেডিয়াম করা থেকে, পিচ বসানো- সব কিছু কাজ করা হয়েছে। খরচায় কোনও রকম খামতি রাখেনি আইসিসি। তবে এখানেই বেঁধেছে বিপত্তি। আইসিসি আমেরিকার গ্রুপ লিগের ম্যাচ আয়োজনের জন্য যে বাজেট রেখেছিল, সেই বাজেট ছাপিয়ে গিয়েছে সব কিছুকে। ফলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে আইসিসি। কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পরেই এই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়েছে আইসিসি।
আরও পড়ুন: ভারতকে দ্বিপাক্ষিক T20I সিরিজের কোনও প্রস্তাবই দেওয়া হয়নি- ভোল বদলে দাবি PCB-র
আইসিসি মিডিয়ার তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘আইসিসি-র বোর্ড এটা নিশ্চিত করছে যে, একটি রিভিউ করা হবে আইসিসির ২০২৪ মেন্স টি-২০ বিশ্বকাপের ডেলিভারি নিয়ে। এই পর্যালোচনার বিষয়টি তিন জন ডিরেক্টর পর্যায়ের লোক দেখাশোনা করবেন। সেখানে থাকবেন রজার টুস, লসন নাইডু এবং ইমরান খোয়াজা, যাঁরা বোর্ডকে এই বিষয়টি নিয়ে এই বছরের শেষের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।’
আরও পড়ুন: সচিনের সর্বোচ্চ টেস্ট রানের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন রুট- বড় দাবি ইংরেজ প্রাক্তনীর
আইসিসি আমেরিকাতে টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজন করে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তাদের ক্ষতির পরিমাণ ২০ মিলিয়ন ডলার ছাপিয়ে গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। আইসিসি আমেরিকা পর্যায়ের টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজনের বিষয়ে বাজেট ধরেছিল ১৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। শেষ পর্যন্ত অডিট করে দেখা গিয়েছে, বাস্তবে এর থেকে অনেক অনেক বেশি খরচ হয়ে গিয়েছে। ফলে আইসিসির একাধিক সদস্যের তরফে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। পর্যালোচনার কথা বলা হয়। তার পরেই এই বিষয়ে পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি।
টেন্ডার দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আপত্তি তুলেছেন। এখানে বেশ কিছু বেনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। সেই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।তারপর তারা রিপোর্ট দেবে। আইসিসির তরফে ইতিমধ্যেই আমেরিকা ক্রিকেট এবং চিলি ক্রিকেটকে সতর্ক করা হয়েছে। আইসিসির নিয়ম না মানার কারণেই এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে ১২ মাসের সময় দেওয়া হয়েছে, আইসিসি-র সমস্ত শর্তাবলি পূরণ করার। তার পরে ফের একবার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে আইসিসি।