অস্ট্রেলিয়াকে সুপার ৮ স্টেজ থেকে বিদায় দিয়ে এবারের টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। সোমবার তাঁদের কাজটা সহজ করে দিয়েছিল রোহিত শর্মার ভারত। ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল হারের বদলা নিতে গিয়ে অজিদের ওপর বুলডোজার চালিয়ে দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপর একই মেজাজে আর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদবরাও অজিদের খাদের কিনারায় পাঠিয়ে দিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অজিদের অবস্থা এতটাই করুণ হয়েছিল, যে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে হয়েছিল মার্শ, হেডদের। কিন্তু কোনও অঘটন ঘটানোর সুযোগ দেননি রশিদ খানরা। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে মঙ্গলবার বাংলাদেশকে হারিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে দশম দল হিসেবে সেমিফাইনালে খেলার নজির গড়েছে আফগান, এরপরই ভারতকে অভূতপূর্ব সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানাল তালিবানরা।
আরও পড়ুন-ক্রিকেট খেলা শুরুই করেছি ভারতের হয়ে খেলব বলে! দলে ডাক পেয়ে বললেন একদা ‘অভিমানী’ রিয়ান
এশিয়ার তিনটি দেশ শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং ভারত বহু বছর ধরেই সেমিফাইনাল খেলছে। এতদিন ক্রিকেট খেলেও প্রতিবেশি বাংলাদেশের সৌভাগ্য হয়নি শেষ চারে ওঠার। সেখানে মাত্র কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা দিয়েই পাহাড় প্রমাণ কাজটা করে দেখাল আফগানিস্তান। সেদেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য ভারত সবসময় পাশে থেকেছে। আর্থিক দিক থেকে হোক বা পরিকাঠামোগত দিক থেকে, কখনই রশিদ খান, নবীন উল হকদের পিছিয়ে যেতে দেয়নি বন্ধু দেশ ভারত। সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েই তাই তালিবানরাও ধন্যবাদ জানাল ভারত। বুঝিয়ে দিল, ভারতের সাহায্য ভুলে যাননি তাঁরা।
আরও পড়ুন-অস্ট্রেলিয়া তো সেমিতে যাবেই, হম্বিতম্বি করেছিলেন কামিন্স, মনে করালেন আফগান ক্রিকেটার
মাত্র দুদশক সময়ের মধ্যেই আফগানিস্তান দলের এহেন সাফল্যের কারণ ভারত। ফজলহক ফারুকি, রহমানুল্লাহ গুরবাজদের দলকে দীর্ঘদিন ধরেই স্পনসর করে আসছে ভারতীয় সংস্থাগুলো। ২০১৪ সালে কান্দাহারে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম গড়ে তুলতে ভারত ১ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য করেছিল তাঁদের। বেশ কয়েক বছর ধরেই সেদেশে ক্রিকেট খেলার তেমন পরিবেশ পরিস্থিতি না হওয়ায় ভারতে নিজেদের হোম ম্যাচ খেলে আফগানরা। শেষ কয়েকবছর লখনই, নয়ডা এবং দেরাদুনে নিজেদের ঘরের মাঠ হিসেবেই সিরিজ খেলেছে আফগানরা। আগামী মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষেও ভারতের নয়ডা এবং কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামকে ঘরের মাঠ হিসেবে দেখিয়ে ওডিআই এবং টি২০ সিরিজ খেলবে তাঁরা। এহেন সাহায্য কি কোনওভাবে ভোলা সম্ভব? খুব কম বন্ধুই এভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তাই ভারতের থেকে এহেন বন্ধুত্ব পেয়ে আপ্লুত আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন-একটা ক্যাচই বদলে দিয়েছিল ম্যাচের মোড়! মার্শকে সাজঘরে ফিরিয়ে সেরা ফিল্ডার অক্ষর
তাঁরা সেমিফাইনালে উঠতেই তালিবানদের রাজনৈতিক অফিসের প্রধান সুহেল শাহিন জানান, ‘আমরা ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ, ওরা যেভাবে আফগানিস্তানের ক্রিকেটের উন্নতিতে আমাদের সাহায্য করে যাচ্ছে। আমরা সাধুবাদ জানাই এই পদক্ষেপকে ’।