অনূর্ধ্ব ১৯ কোচবিহার ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল তামিলনাড়ু। ফাইনাল ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে গুজরাটের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে রানে এগিয়ে থাকায় জয় পেল তারা। এদিন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে শেষ দিনের খেলার শেষে ট্রফি হাতে সেলিব্রেশনে মাতেন তামিলনাড়ুর ক্রিকেটাররা। এর আগে সেমিফাইনালে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জিতে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল তামিলনাড়ু। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র করেছিল গুজরাট। প্রথম ইনিংসে লিড থাকায় ফাইনালে জায়গা করে নেয় গুজরাট। গত মরশুমে কোচবিহার ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কর্ণাটক।
ফাইনালে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট এবং তামিলনাড়ু। টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তামিলনাড়ু। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই অধিনায়ক রুদ্র ময়ূর প্যাটেলের উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পরে গিয়েছিল গুজরাট। তবে ৩ নম্বরে ব্যাট করতে এসে দুরন্ত ব্যাটিং করেন মৌল্যরাজসিংহ চাভরা। ১৮৯ বলে ১৬১ রান করেন তিনি। মারেন ১২টি চার এবং ৫টি ছয়। এছাড়াও গুজরাটের হয়ে প্রথম ইনিংসে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স করেন কাব্য প্যাটেল। তিনি ১৬৭ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেট হারিয়ে ৩৮০ রান করে গুজরাট। তামিলনাড়ুর হয়ে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আর প্রবীণ।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেট হারিয়ে ৪১৩ রান তুলেছিল তামিলনাড়ু। ব্যাট হাতে ১০৮ বলে ৯১ রান করেছিলেন আরকে জয়ন্ত এবং ১১৪ বলে ৮৫ রান করেছিলেন আরএস অম্বরিশ। পরবর্তীতে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮৬ বলে ৪২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন আর প্রবীণ। জয়ন্তের সঙ্গে মিলে ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। এছাড়াও ৩ নম্বরে ব্যাট হাতে ২১৭ বলে ৫৪ রান করেছিলেন বিকে কিশোর। গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন খিলান প্যাটেল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করেছিল গুজরাট। ৪৬ বলে ৪৯ রান করেছিলেন মৌল্যরাজসিংহ চাভরা। রান তাড়া করতে নেমে খেলার শেষ দিনে শেষবেলায় তামিলনাড়ুর স্কোর ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রানে এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন হয় তামিলনাড়ু। স্বভাবতই প্রতিযোগিতার সেরা দল হয়ে খুশি তামিলনাড়ুর তরুণ ক্রিকেটাররা।