বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ফরচুন বরিশাল এবং রংপুর রাইডার্স। টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রংপুর। ম্যাচের একটা পর্যায়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল বরিশাল। কিন্তু সেখান থেকেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় রংপুর। শেষ ৬ বলে তাদের ২৬ রানের প্রয়োজন ছিল জেতার জন্য। কিন্তু সব সমীকরণ পাল্টে দেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। চার-ছয় হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন তিনি। আর এরপরেই ঘটে আসল ঘটনা। ম্যাচ শেষে যখন দু’দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্য বিনিময় করছিলেন তখনই মেজাজ হারান বরিশাল ফরচুনের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কার্যত মাঠের মধ্যে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ের দিকে তেড়ে গেলেন তিনি।
মেজাজ হারিয়ে তেড়ে গেলেন তামিম ইকবাল:
শেষ ওভারে ২৬ রান তাড়া করতে গিয়ে ৩ ছক্কা আর ৩ চার মেরে রংপুর রাইডার্সকে জয় এনে দেন সোহান। জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ায় স্বভাবতই বেশ হতাশ ছিলেন তামিম ইকবাল। ফলে মেজাজ যে মোটেও ঠিক ছিল না তাঁর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরকম পরিস্থিতিতে বড় কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন তিনি। তখন ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন। সেই সময় রংপুর রাইডার্সের প্লেয়ার অ্যালেক্স হেলস তামিমকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেছিলেন। তারপর আর কে দেখে! হেলসের দিকে তেড়ে যান তামিম। যদি না সোহান তাঁকে আটকাতেন তাহলে হয়তো হেলসকে মেরেই দিতেন তিনি। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো।
তামিমের মেজাজ হারানো প্রসঙ্গে যা বললেন বরিশালের ব্যাটিং কোচ:
সমালোচনা শুরু হতে বিষয়টা নিয়ে সাফাই দিয়েছেন বরিশালের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবাল খান। যদিও পুরো ঘটনাটি কী ঘটেছিল সেই বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি। নাফিস বলেন, ‘খেলার পর আমি সেখানে ছিলাম না, তাই বলতে পারব না ঠিক ঘটেছিল। তবে তামিমের উত্তেজিত হওয়ার ঘটনাটা আমি দেখেছি। ম্যাচে যেমন হয় হারার পর, বিশেষ করে এই ধরনের ম্যাচে ইমোশনটা অনেক ক্যারি করে। আশা করি তেমন সিরিয়াস কিছু না। নিশ্চয়ই কিছু একটা বলা হয়েছে ওকে যেটার জন্য এরকম প্রতিক্রিয়া এসেছে। তবে আমার মনে হয় সিরিয়াস কিছু না।’ উল্লেখ্য, চলতি BPL-এ এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচের সবকটি ম্যাচেই জিতেছে রংপুর রাইডার্স। এদিন প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান তুলেছিল বরিশাল ফরচুন। ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় রংপুর রাইডার্স।